কৃত্রিম প্রসব বেদনা (পালট বেদনা)

রোগ বিবরন : গর্ভবস্থায় প্রথম বা শেযের দিকে কোন কোন গর্ভিনীর কৃত্রিম প্রসব বেদনা দেখা দেয় ।উহাতে গর্ভিনী অত্যন্ত কষ্ট পায় ।এই বেদনা মৃদু মাঝে মাঝে হইয়া থাকে ।কৃত্রিম প্রসব বেদনা নাভির নিচে কোমরে আরম্ব হইয়া ঐ স্থানে লোপ পায় ।

চিকিৎসা

পালসেটিলা (Pulsatilla) : গর্ভস্থায় শেষের দিকে মাঝে মাঝে প্রসব বেদনার ন্যায় পালট বেদনায় ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দুই ঘন্টা অন্তর ২-৪ মাত্রা ।

মিচেলা (Miuchella) : গর্ভবস্থায় শেষের দিকে প্রসব বেদনায় মত কৃত্রিম প্রসব বেদনা হইলে ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 প্রতি দুই ঘন্টা অন্তর ২-৩ মাত্রা ।

কলোফাইলম (Caulophyllum) : প্রসবের কিছুদিন পূর্বে কৃত্রিম প্রসব বেদনায় ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 1x,3x,6 বা 30 দুই ঘন্টা অন্তর কয়েক মাত্রা সেব্য ।

সিমিসিঠিউগা (Cimicifuga) : গর্ভীনীর কৃত্রিম প্রসব বেদনায় ইহা একটি প্রসংশনীয় ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 ৩-৪ মাত্রা ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ম্যাগনেশিয়া ফস (Magnesia Phos) : কষ্ট দায়ক কৃত্রিম প্রসব বেদনায় ম্যাগ ফস অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x,6x তিন বড়ি এক মাত্রা ।গরম জল সহ পুনঃ পুনঃ কয়েক মাত্রা ।

পথ্য ও আনুষিঙ্গিক ব্যবস্থা

গর্ভাবস্থায় কোমরে কযিয়া কাপড় পড়া উচিৎ নয় ।অতিরিক্ত পরিশ্রমিক করা বা একেবারে অলস ভাবে দিন কাটান ভাল নয় ।নিয়মিত স্নান আহার করিবে লঘুপাক ও পুষ্টিকর আহার করা উচিৎ ।অধিক মসলাযুক্ত খাদ্য গুরুপাক দ্রব্য আহার করা নিষেধ ।

কাশি (কফ)

রোগ বিবরন : কাশি নিজে কোন রোগ নয় ।অন্য রোগের উপসর্গ স্বরুপ ।ঠান্ডা বা সর্দি লাগা ঠান্ডা দ্রব্য আহার উপ জিহ্বা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারনে কাশি হইয়া থাকে সাধারনত কাশি দুই প্রকার সরল ও শস্ক কাশি ।কাশির সময় কিছু বাহির না হইলে শস্ক কাশি ।কাশির সময় তরল শ্লেম্বা হইলে বাহির হইলে তাহাকে সরল কাশি বলে ।

চিকিৎসা

একোনাইট ন্যাপ (Aconite Nap) : গরম হইতে ঠান্ডা লাগিয়া গলা সুড় সুড় করিয়া খুক খুকে শুস্ক কাশি কাশিতে রোগী বেদম হইয়া পড়ে ।কাশির প্রথমাবস্থায় অবিশ্রান্ত কাশিতে ইহা উৎকৃষ্ট ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x বা 6x দুই ঘন্টা অন্তর ।

বেলেডোনা (Belladona) : প্রবল শুস্ক কাশি অবিরত গলা সুড় সুড় করে গলার ভিতর বেদনা ঢোক গিলিতে কষ্ট ।কাশিতে কাশিতে চোখ মুখ লাল হইয়া উঠে ।ঠান্ডা লাগিয়া কাশির উৎপত্তি ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x,6 বা তিন ঘন্টা অন্তর ।

ক্যালি হাইড্রো (Kali Hydrio): ঠান্ডা লাগিয়া কাশি ।সেই কাশি অধিক দিন স্থায়ী হইলে কাশিলে যে গয়ার শ্লেম্বা উঠে তাহা পরিমানে অত্যন্ত অধিক ।শ্লেম্বার স্বাদ লোনতা ।কাশিতে কাশিতে রোগীর অত্যন্ত দুর্বল হইয়া পড়ে ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল দু্ই বার ।পুরাতন রোগে 1m বা 10m সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

রিউমেক্স (Rumex) : গলা সুড় সুড় কুট কুট করিয়া অবিরত শুস্ক কাশি কাশি ঠান্ডায় বৃদ্ধি ঠান্ডা বাতাসে বৃদ্ধি সন্ধ্যায় বৃদ্ধি শয়নে বৃদ্ধি মাঝে মাঝে কাশির দমকে অসাড়ে প্রস্রাব নিঃসরন হইয়া যায় ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 তিন ঘন্টা অন্তর ।

স্যাম্বুকাস (Sambucus) : সর্দি কাশি রাত্রে কাশির বৃদ্ধি ঘুমের ঘরে শিশু কাশিতে কাশিতে দম বন্ধের ভাব হয় ।বুকের ভিতর সাই সাই ঘড় ঘড় শব্দ শ্বাস গ্রহন করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া পড়ে ।সর্দিতে নাসিকা বন্ধ মুখ দিয়া নিঃশ্বাস ফেলে শিশু স্তন দু্ধ পান করিতে কষ্ট ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 তিন ঘন্টা অন্তর ।

ক্যালি বাইক্রম (Kali Bich) : গলা কুট কুট করিয়া কাশি কাশিতে কাশিতে অধিক পরিমানে গয়ার উঠে ।গয়ার শ্লেম্বা ফেলিতে গেলৈ আঠার মত ঠোটে লাগিয়া থাকে ।হাত দিয়া টানিয়া ফেলিতে সুতার মত লম্বা হইয়া পড়ে ।শ্লেশ্বা টানিলে রবারের মত লম্বা হওয়াই ক্যালি আইক্রমের বিশেষ লক্ষন ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 চার ঘন্টা অন্তর ।

ষ্ট্যানাম মেট (Stannum Met) : সরল বা শুস্ক উভয় প্রকার কাশিতে কাশিতে ষ্টেনাম উপযোগী ।মরল কাশিতে প্রচুর পরিমানে ডিমের অংশের ন্যায় শ্লেম্বা নির্গত হয় ।শ্লেম্বার স্বাদ মিষ্ট ।সন্ধ্যা ডান পার্শে শুইলৈ কাশির বৃদ্ধি ।কথা বলিলে গান করিলে হাসিলে গরম দ্রব্যাদি পান করিলে কাশি বাড়ে ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 প্রত্যাহ দুই মাত্রা ।

ইপিকাক (Ipeeac) : খুক খুকে কাশি গলায় সাই সাই ঘড় ঘড় শব্দ কাশিকে কাশিতে বমি করিয়া ফেলে ।বমির চেয়ে বমির ভাব বেশী ।গা বমি বমি জিহ্বা পরিস্কার ইহাতে ইপিকাক উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 তিন ঘন্টা অন্তর ।

ব্রাইওনিয়া এলব (Bryonia Alb) : শুস্ক কাশি দিনের চেয়ে রাত্রে কাশির বৃদ্ধি ।কাশিতে কাশিতে বুকে সুচ ফুটানো ব্যাথা ।ব্যথার স্থান চাপিয়া ধুরিলে উপশম ।অনেকক্ষন কাশিলেও গয়ার উঠেনা ।মাঝে মাঝে হলুদ বর্ণের রক্ত মিশ্রিত শ্লেম্বা ।কোষ্ঠবন্ধ ইত্যাদি লক্ষনগুলি ব্রাইওনিয়ার প্রধান পরিচয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই মাত্রা ।ব্রাইওনিয়ার সম্পূর্ণ উপকার না হইলে ক্যালি কার্ব প্রযোজ্য ।

ষ্টিষ্টা (Sticta) : ঠান্ডা লাগিয়া সর্দি হাচি গলা সুড় সুড় করিয়া ঘন ঘন কাশি ।রাত্রে কাশির বৃদ্ধি ।গলা সুড় সুড়ানি কাশিতে রোগীর ঘুম হয় না ।সর্দি শুকাইয়া নাশিকা বন্ধ হইয়া থাকে ।হাম জ্বরের পর শিশুদের অরিশ্রান্ত কাশিতে ব্যবহার করিতে দিয়া আমি যথেষ্ট উপকার পাইয়াছি ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দুই তিন ঘন্টা অন্তর ।

স্পঞ্জিয়া (Spongia) : গলায় সাই সাই শব্দ করাত দিয়া কাঠ চেরার মত কাশিতে কাশিতে বৃদ্ধি ।গলা সুড় হইয়া পড়ে ।শিশুদের ঘুড়িং কাশিতে এই ঔষধটি উত্তম কাযকারী ।আরোগ্য হইতে পাইয়াছি ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 দুই ঘন্টা অন্তর পরে হিপার 200 শক্তি সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

ফসফরাস (Phophorus) : নম্র স্বভাব অল্প কথায় মনে ব্যথা তীক্ষ্ বৃদ্ধি লম্বা এক হারা চেহারা হাটিতে সম্মুখ দিকে একটু ঝুকিয়া চলে ।অল্পেই ঠান্ডা লাগে শীত কাতর এই ধাতুর রোগীদের গলা সুড় সুড় করিয়া চলে ।অল্পেই কাশি সন্ধ্যা হইতে বাড়ে ।বাম পাশৈ চাপিয়া বা চিত হইয়া গুইলে কাশি বাড়ে ।কথা বলিলে বা হাসিলে বাড়ে শ্লেম্বার সহিত মাঝে মাঝে রক্তের ছিট হলুদ বর্ণের পুজের মত গয়ার নির্গত হয় ।স্বাদ লোনা প্রভুতি লক্ষনে ইহা অমোষ ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল ।

হিপার সালফ (Heper Sulph) : কাশি কখনও শুস্ক কখনও সরল গলায় সাই সাই ঘড় ঘড় শব্দ ।মুখে বাতাস লাগিলে ও কাশি বাড়ে অনেক ক্ষন কাশিলে অল্প একটু উঠে ।কাশিতে কাশিতে রোগী ঘমান্ত হইয়া যায় ।শীত কাতর মেজাজ রাগী অল্পেই রাগিয়া উঠে প্রভুতি লক্ষনে হিপার উপযোগী ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 তিন চার ঘন্টা অন্তর ।

এন্টিম টার্ট (Antim Tart) : বুকে সর্দি বসিয়া গলায় সাই সাই ঘড় ঘড় শব্দ ।অনেকক্ষন কাশিয়াও গয়ার তুলিতে না পারিয়া নিস্তেজ হইয়া পড়িয়া থাকে ।দম আটকানো কাশি রাতে বৃদ্ধি শ্বাস প্রশ্বাসের টোনে টানে বুক চাপিয়া হইয়া পড়িয়া থাকে ।দম আটকানো কাশি রাতে বৃদ্ধি শ্বাস অন্তর কাশির বৃদ্ধি হইয়া রোগী আরোগ্য হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x বা 6 দুই বার ঘন্টা অন্তর সেবন কাশির রোগী আরেগ্য দিকে তখন হিপার সালফ 200 দুই মাত্রা প্রয়োগ করিলেই সম্পূর্ণ আরোগ্য হয় ।

হায়োসিয়ামস (Hyosyamus) : শুস্ক কাশি গুইলে বৃদ্ধি উঠিয়া বসিলে নিবৃত্তি ।বহুলক্ষন কাশিলেও কিছু মাত্র গয়ার উঠে না আলজিব বাড়িয়া উক্ত প্রকারের কাশি হইলে বিশেষ উপকারী ।রাত্রে শুইলে কাশি বৃদ্ধিতে ইহা ব্যবহারে করিয়া বহু রোগী আরেগ্য হইয়াছে ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দিনে তিন বার ।200 শক্তি সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

ক্যালি ব্রোম (Kali Brom) : গর্ভাবস্থায় দমকা কাশিতে ক্যালি ব্রোম অব্যর্থ ।মহৌষধ ।হুপিং কফের মত শুস্ক মাত্র গয়ার উঠে না ।আলজিব বাড়িয়া উক্ত প্রকারের কাশি হইলে ইহা প্রয়োগ করিয়া বহু কাশি কাশি দিনে কম রাতে আরোগ্য হয়াছিল ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 দিনে তিন বা 200 প্রত্যহ দুই মাত্রা ।

স্যাঙ্গুনেরিয়া ক্যান (Sanguinaria Can) : ভয়স্কর শুস্ক কাশি ।কাশি রাত্রে বৃদ্ধি কাশির জন্য ঘুমাইতে পারে না বসিয়া থাকে ।কাশির সহিত অত্যাধিক পচা দুর্গন্ধ বাহিষ হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x বা 6 30 দিনে ৪ ফোটা ঠান্ডা জলসহ দিনে চার বার ।

ক্যালি কার্ব (Kali Carb) : আপেক্ষিত শস্ক কাশি ।বুকে সুচ ফুটানো ব্যথা ।ব্যথার স্থান চাপিয়া শুইলে ব্যথা বাড়ে ।স্থির হইয়া থাকিলে বাড়ে ।নড়াচড়ায় সামান্য আরাম ।কাশি শেষ রাতে বৃদ্ধি ।অত্যন্ত শীত কাতর ঠান্ডা সহ্য করিতে পারে না ।ইত্যাদি লক্ষনে ইহা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6,30 দিনে তিন মাত্রা বা 200 সকাল বিকাল দিনে দুই মাত্রা ।

কষ্টিকাম (Carsticum) : গলা সুড় সুড় করিয়া কাশি ।কাশিতে কাশিতে গলায় টাটানি ব্যথা ।অনেকক্ষন কাশিবার পর একটু গয়ার উঠে ।ঠান্ডা কাশিতে গলা ভাঙ্গিয়া যায় ।কাশির দমকে মাঝে মাঝে অসাড়ে পর একটি গয়ার উঠে ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 প্রত্যাহ সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

কোনিয়াম (Conium) :শস্ক কাশি দিনের বেলায় কম রাতে কাশির বৃদ্ধি রাতে শুইলে কাশি উড়িয়া আসিয়া জ্বড়িয়া বসে বসে দম আটকানো শুস্ক কাশি ।গর্ভবস্থায় এই প্রকার কাশিতে ও কোনিয়ম উত্তম কাযকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই বার মাত্রা ।

লাইকোপোডিয়াম (Lycopodium) : দিন রাত্রি কাশি কাশির সহিত প্রচুর পরিমানে পুজের মত গয়ার উঠে সবুজ বা হলুদ কফের সহিত রক্তের ছিট দেখা যায় ।শিশুদের বুকের ভিতর কফ ঘুড় ঘুড় শব্দ শ্বাস প্রশ্বাস কষ্ট সর্দিতে নাসিকা বন্ধ বিকাল ৪ টা হইতে রাত ৮ টায় রোগের বৃদ্ধি ।ইহা লাইকোপিড়িয়ার বিশেষ লক্ষন ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

জ্যাষ্টিশিয়া (Justicia) : অবিশ্রপ্ত খুক খুকে কাশি কাশিবুকে শ্লেম্বা গলায় ঘড় ঘড় সাই সাই শব্দ ।দম আটকানো শুস্ক কাশি ।কাশি রাতে বৃদ্ধি ইহাতে জ্যাষ্টিশিয়া উপযোগী ।আমি ইহার 3x ২-৪ ফোটা বয়স অনুপাতে সামান্য গরম জলসহ প্রত্যহ চার বার সেবন করিতে দিয়া বহু শিশু রোগী আরোগ্য হইতে দেখিয়াছি ।

ওসিমাম স্যাস্ক (Ocimum Sanc) : সর্দি কাশি জ্বর গয়াল সাই সাই ঘড় ঘড় শব্দ ।শিশুদের উদরাময়ের সহিত উক্ত লক্ষনে সরল কাশিতে ইহা অমোঘ ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x বা 6 ২-৬ ফোটা বয়স অনুপাতে তিন ঘন্টা অন্তর।

এস্ত্রাগ্রিসিয়া (Ambra Grisea) : গলা সুড় সুড় কুট কুট করিয়া দমকা কাশি জোড়ে কথা কহিলে বা পরিলে কাশি বাড়ে ।কাশির সময় বুক চাপিয়া ধরে ।কুকুরের আওয়াজের মত ঢঙ ঢঙ কাশিতে পচা ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দিনে তিন ঘন্টা ।

ফেলান্ড্রিয়ম (Phellandrium) : ক্রমাগত কাশি বুকের ডান দিকে সুচ ফোটানো বেদনা কাশিতে ইহা দুর্গন্ধ গয়ার উঠে ।রাত্রে কাশি বৃদ্ধি ।কাশির জন্য রোগী শুইতে পারে না ।বসিয়া থাকে ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দিনে তিন ঘন্টা ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ফেরাম ফস (Ferrum Phos) : গলা সুড় সুড় করে খুক খুকে কাশি শুস্ক বিরক্তিকর কাশিতে ফেরাম উপযোগী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দিনে তিন ঘন্টা ।

ক্যালি মিউর (Kali Mur) : গলায় সাই সাই ঘড় ঘড় শব্দ কষ্টকর কাশি শ্বেত বর্ণের গয়ার উঠে কোষ্টবদ্ধ ।জিহ্বায় শ্বেত বর্ণের প্রলেপযুক্ত রোগীতে ইহা অধিক উপযোগী ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x ২-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দিনে তিন বার ।গরম জলসহ সেব্য ।

নেট্রাম সালফ (Natrum Sulph) : সরল কাশি তরল কফ কাশিতে বুকে ব্যথা হাতে বুক চাপিয়া ধরিয়া কাশে ।সবুজ বর্ণের অধিক পরিমানে কফ উঠে ।ঠান্ডায় কাশির বৃদ্ধি ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x,3x বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে প্রত্যাহ তিন মাত্রা ।হোমিওপ্যাথিক মতে 30 বা 200 ব্যবহারে করিয়া উপকার পাইয়াছি ।বাইওকেমিক ঔষধ গরম জলসহ সেবনে অধিক উপকার হয় ।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা

বুকে সর্দি বসিলে পুরাতন ঘৃত বা সরিসার তৈল গরম করিয়া বুকে মালিশ করা ভাল । খুক খুকে কাশিতে মিছরি চুষিয়া খাইলে উপকার হয় ।লবনের গরম জল দিয়া গড় গড় করিলে খুকে খুকে কাশির উপশম হয় ।লম্বা বল কারক আহার পুরাতন কাশিতে টাটকা দুধ সুপথ্য ।টক জলজ খাদ্য ঠান্ডা জলে স্নান বৃস্টির জলে ভেজা রাত্রি জাগরন নিষিদ্ধ । রোগী বিবরন : সামছুর নাহার শেলী ২৮ বৎসর শিবপুর ।প্রায় দেড় মাস যাবৎ কাশি ।সর্দি শুকাইয়া শুস্ক কাশিয়ে অবিশ্রান্ত শুস্ক কাশি ।কাশি দিন অপেক্ষা রাতে বেশী ।গলায় সুড় সুড় করিয়া ঘন ঘন কাশিতে রোগীনি অস্থির ।কাশির দিন জন্য ঘুমাইতে পারে না ।শুইলে কাশির বৃদ্ধি ।তাই রোগিনী শুইয়া থাকিতে পারে না ।অনেক প্রকার কাশের সিরাপ সেবন করিয়া উপকার না পাইয়া আমার নিকট চিকিৎসার জন্য আসে ।ষ্টিস্টা 6 চার ফোটা সেবন করিয়া উপকার না পাইয়া আমার নিকট চিকিৎসার জন্য আসে ।চারদিন পর সংবাদ কাশি অনেক সামান্য জলসহ তিন ঘন্টা পর পর সেবন করিতে দেই ।আরো চারদিন উক্ত নিয়মে ষ্টিষ্টা নিয়মে সেবন করিয়া রোগিনী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয় ।

কার্বাম্কল (বিষ ফোড়া)

রোগ বিবরন : ইহা এক প্রকার সাংঘাতিক স্কোটক ।এই স্ফোটকে অনেক গুলি ক্ষুদ্র ক্ষ্রদ্র মুখ হয় ।কার্বাস্কলে পুজ জম্নিবার আগে অত্যন্ত বেদনা ও জ্বালা হইতে থাকে ।সেই জ্বালা বা বেদনা রাত্র ভাগেই বেশী ।কার্বস্কল সাধারনত কোমড়ে ঘাড়ে বা পৃষ্ঠ দেশে অধিক হইতে দেখা যায় ।কার্বাস্কলে পুজ না হাইলে আশস্কা জনক ।বৃদ্ধ বয়সে বহুসূত্র রোগীদের কার্বাস্কল প্রায়ই মারাত্নক হয় ।

চিকিৎসা

এনথ্যাসিনাম (Anthraxinum) : কার্বাস্কল অর্থাৎ বিষ ফোড়ায় ছোট ছোট ছিদ্র হইতে রস ঝরে ভয়ানক স্পর্শ কাতরতা বেদনা ও জ্বালা ।সেই বেদনা ও জ্বালায় বা বেদনা জ্বালায় রোগী ছট ফট করে ।জ্বলে যন্ত্রনা উপশম ।

সেবন বিধি : শক্তি 30,200 দিনে এক মাত্রা ।

আর্সেনিক এলব (Arsenic Alb) : রোগী অত্যন্ত অবসান অবসাদ অন্তদাহ অস্থিরতা মৃত্যু ভয় পুনঃ পুনঃ অল্প পরিমানে জল পান করে ।কার্বাস্কলের জ্বালা যন্ত্রনা ঠান্ডায় বৃদ্ধি ।রাত্র ১২ টা থেকে ২ টা বৃদ্ধি ।উত্তাপে উপশম ।

সেন বিধি : শক্তি 30,200 তিন ঘন্টা অণ্তর ।

কার্বোভেজ (Carbo Veg) : দুই ব্রন কার্বাস্কল কালো রংয়ের ক্ষত হইতে দুর্গন্ধ পুজ বা রস ঝরে অত্যন্ত জ্বালা সেই জ্বালা যন্ত্রনা রাতে বৃদ্ধি ঠান্ডায় উপশম রোগী নিয়মিত তপাখার বাতাস চায় ।ইহাই কার্বোভেজের প্রধান পরিচয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 তিন ঘন্টা অণ্তর দুই চার মাত্রা ।

ল্যাকেসিস (Lachesis) : কার্বাস্কলের স্থানটি বেগুনী রংয়ের তাহাতে সহজে পুজ হইতে চায়না যদি ও অল্প হয় ।রক্ত মিশ্রিত ।অত্যন্ত জ্বালা সেই জ্বালা যন্ত্রনা নিদ্রাব উপক্রমে কিংভা নিদ্রা ভঙ্গ হইলেই বৃদ্ধি পায় ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 তিন ঘন্টা অন্তর ।

ট্যারেন্টুলা (Terentula) : প্রচুন্ড জ্বর আক্রান্ত স্থানের রং নীলাভ হুল ফুটানো বেদনা জ্বালা চায়না ।যদি ও অল্প হয় তাহা রক্ত মিশ্রিত ।অত্যন্ত জ্বালা সেই জ্বালা যন্ত্রনা হইতে রসের মত নির্গত হইতে থাকে ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 তিন ঘন্টা অন্তর সেব্য ।

এব্রোমা আগষ্টা (Abroum Aug) : বহুমূত্র রোগীদের কার্বাস্কলে সহজে পুজ না হইলেও অত্যন্ত বেদনা থাকিলে ইহাতে উপকার হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি Q চার ফোটা সামান্য জলসহ তিন ঘন্টা অন্তর ।

বাইকেমিক চিকিৎসা

ফেরাম ফস (Ferrum Phos) : আক্রান্ত স্থান লাল চিরিক মারা দপ দপানি ব্যথায় ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x ২-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়ষ অনুপাতে তিন ঘন্টা অন্তর ।

ক্যালি মিউর (Kali Mur) : কোষ্ঠ বদ্ধ জিহ্বায় শ্বেত বর্ণের প্রলেপযুক্ত রোগীদের পীড়ায় দ্বিতীয় বস্থায় ফেরাম ফসের সহিত পর্যায়ক্রমে সহিত সেবন করিতে হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x ২-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দই ঘন্টা অন্তর ।

ম্যাগনেশিয়া ফস (Magnesia Phos) : আক্রান্ত স্থানে বেদনা গরম তাপে বা সেকে উপশম হইলে ইহা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x 6x ২-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে প্রতি এক ঘন্টা গরম জলসহ ।

সাইলেসিয়া (Silieca) : কার্বাস্কলে পুজ সঞ্চয় হইতে থাকিলে ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x,12x ২-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে তিন ঘন্টা অন্তর ।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থ

বিলতি বেগুন টমোটো কাঠের পিড়ির উপর রাখিয়া কাঠ দিয়া পিযিয়া কার্বাস্কলের উপর মোটা প্রলেপ দিলে কার্বাস্কলে জ্বালা যন্ত্রনা কমিতে গুরু করে ।চার ঘন্টা পর পর এই প্রলেপ বদলাইয়া নতুন করিয়া দিতে হয় ।টমেটো যদি না পাওয়া যায় আতা ফলের পাতা গরম পানিতে ধুইয়া পাত গুলি বাঠিয়া গরম করিয়া কার্বাস্কলের উপর প্রলেপ দিয়া একটি পান আগুনে সেকিয়া বাধিয়া দিবে ।দিনে তিন বার এই তবে বদলাইয়া দিতে হয় ।পুই পাতা বাটিয়া কার্বাস্কলের ঘায়ে লাগাইলে ঘা আরোগ্য হয় ।

কান পাকা (কানে পুজ)

রোগ বিবরন : কানে জল প্রবেশ করিয়া ঠান্ডা লাগিয়া প্রদাহ হইয়া হাম জ্বর বসন্তাদির পর কানে পুজ দেখা দেয় ।কান পাকা পুরাতন হইলে বধিরতা আনায়নতা করে ।পুরাতন কান পাকা সহজে আরোগ্য হইতে চায়না ।

চিকিৎসা

ক্যান্সিকম (Capsicum) : পুরাতন কান পাকা কর্ণ পট ছিদ্র হইয়া হলুদ বর্ণের ঘণ পুজ নির্গত হয় ।মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা হইলে এই ঔষধ উপকারে আসে ।

সেবন বিধি : শক্তি 200 বা 1m মপ্তাহ অন্তর সকাল বিকাল দুই মাত্রা সম্পূর্ণ আরোগ্য না হইলে 10m 50m cm ১৫ দিন বা মাসান্তে এক মাত্রা ।

বোরাক্স (Borax) : নিম্ন গতিতে আতংক ।অথাৎ নিচের দিকে নামিতে বা নামাইতে ভয় পাওয়া ইহার বিশেষ লক্ষন ।এই ধাতুর রোগীদের কান থেকে ঘন সাদা বর্ণের পুজ নির্গত হইলে বোরাক্স অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x,6x প্রত্যহ তিন মাত্রা ।পুরাতন রোগীর জন্য ২০০ বা 1m সপ্তাহ অন্তর সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।বহু পুরাতন কান পাকা 10m,50m বা শক্তি ব্যবহারে অনেক উপকার পাইয়াছি ।উপর উল্লেখিত বিশেষ লক্ষনে শিশুদের কান পাকা 3x দিনে তিন বার সেবন করিতে দেওয়ায় বহু রোগী আরোগ্য হইয়াছে ।

টেলিউরিয়ম (Tellurium) ; নতুন বা পুরাতন কান পাকায় ইহা একটি প্রসংশনীয় ঔষধ ।কানের পুজ মাংস ধোয়া জলের ন্যায় পাতলা ভিষন দুর্গন্ধ লোক কাছে বসিতে চায় না ।দুর্গন্ধ যুক্ত কান পাকায় এই ঔষধ ব্যবহারে বহু রোগী উপকার পাইতে দেখিয়াছি ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 প্রত্যাহ দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগীদের জন্য 200 1m বা আরো উচ্চ শক্তি ।

সোরিনাম (Psorinum) :নতুন পুরাতন উভয় প্রকার কান পাকয় উৎকৃষ্ট ঔষধ ।হলুদ বর্ণের পুজে অত্যন্ত দুর্গন্ধ ।মল মূত্র মুখে দুর্গন্ধ স্ফুতিহীন শীতে কাতর অপরিস্কার নোংড়া রোগীদের ইহা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 200 বা 30 সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগীর জন্য 10m,50m সিএম ।

মার্কুরিয়াস সল (Mere Sol) : কানে পুজ রক্ত মিশ্রিত পুজে ভীষন দুর্গন্ধ ।হলুদ বা সবুজ বর্ণের পুজের সঙ্গে রক্ত ।কানে যন্ত্রনা রাতে বৃদ্ধি বিছানায় গরমে বৃদ্ধি আরোগ্য না হইলে ইহা প্রযোজ্য ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগীর জন্য আরো উচ্চ শক্তি ।

টিউবারকিউলিনাম (Tuberculinum) : প্রায়ই সর্দি ঠান্ডা লাগিয়াই থাকে ।নাকে সর্দি কানে পুজ পুজে মাংস পচার মত দুর্গন্ধ পুরাতন কান পাকা কিছুতেই আরোগ্য না হইলে ইহা প্রযোজ্য ।

সেবন বিধি : শক্তি 200 বা 1m সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগীর উ্চ্চ শক্তি আরোগ্য করে ।

থুজা (Thuja) : পুরাতন কান পাকা কানের পুজ পচা মাংসের মত দুর্গন্ধ কানের ভিতর গেজ হইলে থুজা তাহা আরোগ্য করিতে পারে ।

সেবন বিধি : শক্তি 200 হইতে উচ্চ শক্তি ।নয় বছরের বালিকার দুর্গন্ধ যুক্ত কান পাকয় কানের ভিতর গেজ হইয়াছিল ।আমি তাহাকে থুজা cm সকাল বিকাল দুই মাত্রা সেবন করিতে দেই ।এক মাস পরে সংবাদ পাইলাম কান পাকা ও গেজ উভয়ই দূরীভূত হইয়াছে ।

আর্নিকা মন্ট (Arnica Mont) : কান পাকা কানের ভিতর কাঠি বা পালকালী দিয়ে খোচানো কারন অন্যন্য ঔষধে উপকার নাইলে আর্নিকায় উপকার হয় ।আমি ইহার ব্যবহারে উপকার পাইয়াছি ।

সেবন বিধি : শক্তি 1m,10m বা আরো উচ্চ শক্তি ।সপ্তাহ বা পনের দিন অন্তর সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।পিউর গ্লিসারিন দুই ফোটা করিয়া দিনে তিন বার কানে বাহ্যিক প্রয়োগ করিলে আরো শীঘ্র উপকার হয় ।

ডায়োলা অডোরেটা (Viola Odorate) : কানে ভীষন বেদনার সহিত পুজ নির্গত হইতে থাকি এই ঔষধ সেবন উপকার হয় ।পুজ স্রাবের সহিত কান বেদনা এই ঔষধ সেবন করিতে দিয়া অনেক রোগীর উপকার হইতে দেখিয়াছি ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দুই তিন ঘন্টা অন্তর ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ক্যালকেরিয়া সালফ (Calcarea Sulph) : নতুন বা পুরাতন কান পাকায় গন্ধ বীহীন হলূদ বর্ণের ঘন পুজে ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 12x,30x,200x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দিবসে দুইবার ।হোমিওপ্যাথিক মতে ক্যালকেরিয়া সালফ 200 বা 1m পুরাতন কান পাকায় উচ্চ শক্তি ব্যবহারে যথেষ্ট উপকার পাইয়াছি ।

সাইলেসিয়া (Silicea) : কানে পুজ মাংস ধোয়া জলের মত পাতলা দুর্গন্ধময় পুজে ইহা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 12x হইতে উচ্চ শক্তি দিনে দুই বার ।হোমিওপ্যাথিক মতে ক্যালকেরিয়া সালফ 200 বা 1m বা আরো উচ্চ শক্তি উপকারী সাইলেসিয়া ধাতুগত লক্ষন অন্য স্থানেপোবেন ।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা

কানের তির পালক বা কাঠি দিয়া খোচানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ।ডুব দিয়া স্নান চুর্ন কানের ভিতর বাহ্যিক প্রয়োগের কান পাকা আরোগ্য হয় ।মুলেন অয়েল দুই তিন ফোটা দিনে তিন বার কানের ভিতর প্রয়োগ করিলে কান পাকা আরোগ্য হয় ।

কান বেদনা (কর্ণশুল)

রোগ বিবরন : ঠান্ডা লাগিলে কানের ভিতর জল পবেশ করিলে কাঠি দিয়া খোচা দিলে কানে কোন প্রকার আঘাত লাগিলে বা ফোড়া হইলে কিংবা কানে খৈল হইলে কান বেদনা হইতে পারে ।

চিকিৎসা

একোনইট ন্যাপ (Aconite Nap) : ঠান্ডা লাগিয়া কান বেদনা ভিতর কট কট দপ দপ করে ।হঠাৎ করিয়া কান ব্যথায় রোগী অস্থির হইয়া পড়ে ইহাতে একোনাইট অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x 6 এক বা দুই ঘন্টা অন্তর ।

বেলেডোনা (Belladona) ; কান অত্যন্ত গরম লাল জ্বালা চিড়িক মারা দপ দপানি ব্যথায় বেলেডোনা প্রযোজ্য ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x,6 এক ঘন্টা অন্তর সেবন উপকার পাওয়া যায় ।

পালসেটিলা (Palsatilla) : শান্ত অত্যন্ত গরম লাল কোমল মন গরম কাতর খোলা বাতাস পছ্ন্দ করে এই ধাতুর রোগীদের কানে দপ দপানি খোচা মারা ব্যথা কানের যন্ত্রনায় রোগী কাদিতে থাকে ।

সেবন বিদি : শক্তি 6,30 এক ঘন্টা অন্তর ।

ক্যামোমিলা (Chamomilla) : মেজাজ রাগী খিট খিটে স্বভাব সামান্য কারনে ঝগড়া ঝাটি গালা গালি করা ক্যামোমিলা চরিত্রের প্রধান বেশিষ্ট্য ।শিশুদের কান বেদনায় শিশু করুন স্বরে কাদে ।এই প্রকৃতির রোগীদের কান বেদনায় ক্যামোমিলা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6, 30 বা 200 দুই এক ঘন্টা অন্তর ।

হিপার সালফ (Heper Sulph) : কানের ভিতর ফোড়া স্পর্শ কাতরতা বেদনা ।হাত ছোয়ানতো দুরেকথা ঠান্ডা বাতাস লাগিলে কান বেদনা বাড়ে ।উত্তাপে উপশম ।

সেবন বিধি : শক্তি 30,200 দুই এক ঘন্টা অন্তর ।

ক্যালকেরিয়া পিক্রেটা (Calcarea Pic) : কানের ভিতর ক্ষদ্র ফোড়ায় ইহা মহ উপকারী ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 3xবা 6 এক ঘন্টা অন্তর ।

এলিয়ম সিপা (Allium Capa) : ইহা শিশুদের ঠান্ডা সর্দিসহ কান বেদনার মহ উপকারী ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দুই এক ঘন্টা অন্তর ।

প্ল্যান্টিগো (Plantago) : কান বেদনায় এই ঔষধের মূল আরক Q কানের ভিতর দিয়া কানটি তুলা দিয়া বন্ধ করিয়া রাখিলে ও ইহার 3x শক্তি পুনঃ পুনঃ কয়েক মাত্রা সেবন করিলে কান বেদনায় শীঘ্রই উপশম হয় ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ফেরাম ফস (Ferrum Phos) : কান বেদনা প্রথম অবস্থায় কানের ভিতর লাল দপ দপানি চিরিক মারা ব্যথায় ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x ১-৪ বড়ি িএক মাত্রা বয়স অনুপাতে গরম জলসহ এক ঘন্টা অন্তর ।

ম্যাগনেশিয়া ফস (Magnesia Phos) : সকল প্রকার কান বেদনা সেই বেদনা গরম তাপে বা সেকে উপশমে হইলে ম্যাগনেশিয়া ফস অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে গরম জলসহ এক ঘন্টা অন্তর ।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা

কানের ছিদ্র তুলা দ্বারা বন্ধ করিয়া রাখিবে ।যাহাতে বাতাস কানের ভিতর প্রবেশ করিতে পারে ।কানে গরম সেক দিলে বেদনার উপশম হয় ।ঈষৎ গরম সরিষার তৈল কানের ভিতর দিনে বেদনার উপশম হেইতে পারে ।

কলেরা (ওলা উঠা)

রোগ বিবরন : ইহা ভয়ানক প্রান নাশক এক সংক্রামক ব্যধি ।এক প্রকার জীবানু হইতে এই রোগের উৎপত্তি ।গুলা উঠার এই জীবানু জল কিংবা দুগের্ধর সহিত কোন প্রকার খাদ্য দ্রব্যার সহিত মিশ্রিত হইয়া উদরস্থ হইলে এই রোগ আক্রমন করে ।এই রোগে চাউল ধোয়া জলের ন্যায় কিংবা কুমাড়া পচা জলের মত দাস্ত বুম হইতে হইতে পরে অবসন্নতা হইয়া পড়ে চোখ মুখ বসিয়া যায় ।হাতে পায়ে খিল ধরে ।গাত্র দাহ ছটফটানি অদ্যম্য জল পিপাসা নাড়ী লোপ সর্বাঙ্গীন ঠান্ডা ঘাম প্রসাব বন্ধ শ্বাস কষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ উপস্থিত হইয়া রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হইয়া পড়ে ।

চিকিৎসা

একোনাইট ন্যাপ (Acomite Nep) : রোগের প্রথমাবস্থায় অন্তদাহ ছটফটানি অনবরত এপাশ ওপাশ করা অস্থিরতা মৃত্যু ভয় অদম্য জল পিপাসা অধিক পরিমানে ঘন ঘন জল পান করে চাউল ধোয়া জলের মত বাহ্যে বমি মুখের চেহারা মরার মত ।সর্বাঙ্গ শীতল নাড়ী সুতার মত ক্ষীন ইত্যাদি লক্ষনে ইহা অমোঘ ।

সেবন বিধি : শক্তি 1x ৮ ফোটা চার আউন্স জলে মিশাইয়া এক বা দুই চামচ মাত্রায় ১০-১৫ মিনিট পর পর ।

আর্সেনিক এলব (Arsinic Alb) : অস্থিরতা ছটফটানি মৃত্যু ভয় অত্যন্ত জল পিপাসা অল্প পরিমানে ঘন ঘ জল পান করে ।জল পান মাত্রই পেট বেদনা বাহ্য ক্ষীন সমস্ত উপসনের বৃদ্ধি হয় ।পেট জলে চাউল ধোয়া জলে মত বাহ্যেতে অত্যন্ত দুর্গন্ধ শ্বাস লইতে কষ্ট ।ইত্যাদি লক্ষনে ইহা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x২-৩ ফোটা সামান্য জলসহ ১০/১৫ মিনিট অন্তর ।

সিকেলি কর (Secalc Cor) : চাউল ধোয়া জল কিংবা কলের জলের মত মল অনবরত বাহ্যের বমি ঠান্ডা জল পানের অত্যন্ত আগ্রহ বমি অপেক্ষা বমি বমি ভাব বেশী ।শরীর বরফের মত ঠান্ডা অত্যন্ত জ্বাা শরীরে কাপড় রাখিতে পারে না ।উলঙ্গে হইয়া থাকেতে চায় ।দৃর থেকে পাখার বাতাস চায় ।মুখা বিসিয়া যায় ।ঠান্ডা নাড়ী সুতার মাত ক্ষীন ইত্যাদি লক্ষনে ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ৩-৪ ফোটা সামান্য জলসহ অর্ধ ঘন্টা অন্তর ।

কার্বোভেজ (Carbo Veg) : ওলা উঠা পীড়ার চরম অবস্থায় সর্বাঙ্গীন শীতল ।নাড়ী লোপ চেতনা বা অচেতনা ভাবে পড়িয়া থাকে ।নড়াচড়া করিবার ক্ষমতা থাকে না ।শ্বাস প্রশ্বাস অত্যন্ত ধীর ।খুব কাছে থেকে পাখার বাতাস চায় ।গলার স্বর বসিয়া যায় ।কথা বলিতে পারে না ।

সেবন বিধি ;শক্তি 6,30 দশ বিশ মিনিট অন্তর ।

ভিরেট্রাম এলব (Veratum Alb) : চাউল ধোয়া জলের ন্যায় ভেদ বমি বমির চেয়ে বাহ্যের ভাগই অধিক ।অত্যন্ত দুর্বল কপালে ঠান্ডা ঘাম অদ্যম্য জল পিপাসা হস্তপদে খিচুনি ।পেটে অসহ্য বেদনা কপালে শীতল ঘর্ম ভিরেট্রিমের প্রধা পরিচয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 6,30 অর্ধ ঘন্টা অন্তর ।

কুপ্রাম মেট (Cuprum Met) : চাউল ধোয়া জলের মত বা কুমড়া পচার মত বাহ্য ও বমি ।জল পানের সঙ্গে সঙ্গে বাহ্য ।গাত্র দাহ সমস্ত পেশীতে খিল ধরে ।বৃদ্ধ আঙ্গুল মুষ্টিবদ্যা করিয়া খিচে প্রভুতি লক্ষনে ফলপ্রদ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6,30 ঘন ঘন সেব্য ।

ক্যাস্ফর (Camphor) : রোগের হঠাৎ বৃদ্ধি চাউল ধোয়া জলের মত পচার অতি অল্প পায়খানার শীত শীত ভাব শরীর বরফের মত ঠান্ডা স্বর ভঙ্গ চোখ মুখ বসিয়া যায় ।পুনঃ পুনঃ বমির ভাব শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট অজ্ঞান ভাব ।প্রস্রাব বন্ধ ও অনস্ন্ন নিঝুম হইয়া পড়িয়া থাকে ।গায়ে কাপড় রাখিতে চায় না ইত্যাদি লক্ষনে ইহা উপযোগী ।

সেবন বিধি : শক্তি Q এক ফোটা চিনি বা বাতাসার সহিত ১০ মিনিট পর পর ।শিশুদের অর্ধ বা সিকি মাত্রা ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ফেরাম ফস (ferrum Phos) : ওলা উঠার প্রথমাবস্থায় অজীর্ণ ভেদ ও বমন অবিরত জল পিপাসা পানের অনতি পরেই বমি ।অত্যন্ত অস্থিরতা ইত্যাদি লক্ষনে ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে ঘন ঘন সেবন করিতে হয় ।

ক্যালি ফস (Kali Phos) : পান্তা ভাতের জলের ন্যায় অত্যন্ত দুর্গন্ধ যুক্ত বাহ্য চোখ মুখ বসিয়া যায় ।শরীর বরফের মত ঠান্ডা ।স্বর ভঙ্গ তন্দ্রা ভাবে পুড়য়া থাকে ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x ১-৩ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে ঘন সেবন করিতে হয় ।

নেট্রাম ফস (Natrum Phos) : কৃমি জনিত কলেরায় এই ঔষধটিকে প্রাধান্য হয় ।

সেবন বিধি :শক্তি 3x ২-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে ঘন ঘন কয়েক মাত্রা ।

ম্যাগনেশিয়া ফস (Magenesia Phos) : পিচকারীর ন্যায় বাহ্যে বমি হইয়া সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখিবে ।মল মূএ বমন গর্ত করিয়া পুতিয়া রাখিবে ।মল মূ্এ বমন কখনও পা ঠান্ডা হইয়া গেলে কিংবা খিল ধরিলে এই ঔষধ উপকারে আসে ।হাত পা উদর খিচুনি নিবারনের জন্য ইহা এক মাত্র ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x ১-৪ বড়ি বয়স অনুপাতে গরম জলসহ পুনঃ পুনঃ সেবন করিতে হয় ।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা

কলেরার রোগীকে স্থির ভাবে শোয়াইয়া রাখিবে। রোগীর ঘর বিছানাপত্র সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখিবে ।মলমূত্র বমন গর্ত করিয়া পুতিয়া রাখিবে মল মূত্র বমন কখনও নদী খালে বিলে পুকুর কুয়া কিংবা টিউব ওয়েলে ধোয়া মোছা করিবে না রোগীর হাত পিপাসায় শীতল জল পান কিংবা বরফ চুষিতে দিবে পীড়ার বাড়াবড়ি অবস্থায় কোন পথ্য দেওয়া উচিৎ নয় ।কেবল মাত্র শীতল জল পান করিতে দিবে ।তীব্র অবস্থা কমিয়া গেলে এরারুট বা বার্লির জলের সহিত লেবুর রস দিয়া খাইতে দিবে ।মল স্বভাবিক আকার ধারন করিলে সুরুচাউলের অন্ন শিং বা মাগুর মাছের জোল প্রভুতি পথ্য দেওয়া যাইতে পারে ।মাতার কলেরা হইলে শিশুকে স্তন্য পান হইতে বিরত রাখিবে ।

কম্পন (কাপুঁনি)

রোগ বিবরন : ইহা বড় কষ্টকর ব্যাধি । কোন কিছু ধরতে গেলে হাত কাপে লেখতে গেলে আঙ্গুল কাপে ।লেখা অসম্বব ম্বরন শক্তি হইয়া উঠে ।বৃদ্ধ বয়সে এই রোগ অধিক হইতে দেখা যায় ।মাথা কাপে হাত কাপে পা কাপার জন্য ঠিক মত হাটিতে পারে না ।

চিকিৎসা

আর্জেন্ট মেট (Argent Met) : হস্তমেথুন সপ্নদোষ অতিরিক্ত স্ত্রী সঙ্গম জনিত শুক্র ক্ষয় করিয়া দুর্বলতা ম্বরন শক্তি লোপ খিট খিটে মেজাজ শীত কাতর এই ধাতুর রোগীদের লিখিতে আঙ্গুল কাপায় ইহা উৎকৃষ্ট ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 30,200 সকাল বিকাল দিনে দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি 1m সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

জেলসিমিয়ম (Gelsemium) : স্নায়ুবিক দুর্বলতা নিস্তেজ ভাব ক্লান্তি লিখতে বা কোন কিছু কাহারো সমস্ত শরীর ও কাপিতে দেখা যায় ।

সেবন বিধি : শক্তি 6,30,200 প্রত্যহ দুই বার ।

আ্যগারিকাস (Agaricus) : বৃদ্ধ বয়সে মাথা হইতে কম্পন আরম্ব হইয়া হাত পা কাপে কাহারো সমস্ত শরীরও কাপিতে দেখা যায় ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ৪ ফোটা সামান্য জলের সহিত প্রত্যাহ তিন বার ।

স্ট্যানাম (Stannum Met) : রোগী অত্যন্ত বিষন্ন অল্পেই কেদে ফেলে ক্রন্দনশীল মনে করে বুকের ভিতরটা খালি বুকের দুর্বলতা অল্প পরিশ্রমে অত্যন্ত ক্লান্তি বোদ করে ।এই উপর থেকে নিটে নিামিতে অথাৎ সিড়ি বাহিয়া নিচে নামিতে হাপাইয়া পড়ে শীত কাতর এই ধাতুর রোগীদের কোন দ্রব্য ধরিতে গেলে হাত কাপে ।লিখিতে গেলে বা টাইপ করিতে গেলে হাৎ আঙ্গুল ধাক্কা মারে ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 প্রত্যহ সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগে 1m বা 10m সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

লোলিয়া (Loleum): লিখতে বা কোন বস্তু ধরিতে হাত কাপে আঙ্গুলের কম্পন জনিত কারনে লেখা অসাধ্য হইয়া পড়ে ।

সেবন বিধি : শক্তি 6,30 প্রত্যহ দুই বার ।

এসিড সালফ (Acid Sulph) : অতিরিক্ত খেলার কাজ করে হাতে পক্ষাঘাত ।এমনকি লিখতে গেলে হাত কাপে ।এসিড সালফ তা আরোগ্য করিতে পারে ।

সেবন বিদি : শক্তি 200 সপ্তাহে এক দিন সকালে এক মাত্রা ।পুরাতন রোগে 1m বা 10m বা আরো উচ্চ শক্তি ।

আর্নিকা মস্ট (Arnica Mont) : শরীরের কোন স্থানে আঘাত লাগা হেতু কাম্পন রোগের সুষ্টি হইলে আর্নিকা মন্ট অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিবসে দুই বার ।

জিস্কাম মেট (Zomci Met) ; শরীরের নিম্নাঙ্গের অর্থাৎ উভয় পায়ের কম্পন রোগে জিস্কাম একটি মহৎ কাযকারী ঔষধ ।কোন প্রকার কঠিন পীড়ায় রোগীর পা নড়িতে দেখিলে জিস্কা দেবেনে উপাকার হইবে ।চেয়ার বেঞ্চিত বসিয়া কিংবা দাড়াইয়া পা নাচানোর মুদ্রা দোষ জিস্কামে দূর হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 30,200 দিনে দুই মাত্রা পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি সকালে এক মাত্রা ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ম্যাগনেশিয়া ফস (Megnesia Phos) : ইহা কম্পনের প্রধান ঔষধ ।রক্ত শূন্য দুর্বল রোগীদের ম্যাগনেশিয়া ফসের সঙ্গে ক্যালকেরিয়া ফস পর্যায়ক্রমে কিছু অুধখ দিন সেবন উপকার হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x,6x ২/৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে প্রত্যহ চার বার ।পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি ।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা

সহ্য মত ব্যয়াম করা ভাল ।ঠান্ডা লাগানো অনুচিত ।সকাল বিকাল খোলা বায়ুতে ভ্রমন করা হিতকর ।মাছ মাংস ডিম ঘৃত পুষ্টিকর আহার করা কর্তব্য টক খাওয়া নিষেধ ।

এপিন্ডিসাইটিস (উপাঙ্গ প্রদাহ)

রোগ বিবরন : উদরের ডান দিকে নিম্নে কচুকির উপাঙ্গ নালীর মধ্যে খাদ্য বা কোন দ্রব্য প্রবেশ করিয়া কোন প্রকার আঘাত লাগিয়া বা অজ্ঞাত কারনে এই রোগে জন্মে। তাড়াতাড়ি আহার করা অতিরিক্ত বাইসাইকেল প্রভূতি কারনেও এপিন্ডিসাইটিস হইতে পারে ।

চিকিৎসা

বেলেডোনা (Belladona) : তলপেটের ডান দিকে কুচ কির একটি উপরে ফোলা চকচকে লাল গরম চিরিক মারা দপদ পানি ব্যথা জ্বালা ও স্পর্শ কাতরতায় ইহা উপকারী

সেবন বিধি : শক্তি 3x 6 ৩/৪ ফোটা সামান্য ঠান্ডা জলসহ ২/১ ঘন্টা অন্তর ।

আইরিস টেনাক্স (Iris Tenax) : কুচকির উপরে তলপেটের ডান পার্শে এপিন্ডিসাইটিস টনটনানি ব্যথা চাপে যাতনা বাড়ে। রোগীরেদ প্রায়ই কোষ্ঠ বন্ধ থাকে ।

সেবন বিধি : শক্তি 6,30 বা 200 তিন ঘন্টা অন্তর সেব্য ।ও আর্নিকা Q বাহ্যিক প্রয়োগ বিধেয় ।

আর্নিকা মন্ট (Arnica Mont) : আঘাত জনিত কারনে এপিন্ডিসাইটিসে ব্যথা ।সম্পর্শ কাতরতা যন্ত্রনা আর্নিকা অব্যর্থ।

সেবন বিধি ; শক্তি 30 বা 200 তিন ঘন্টা অন্তর সেব্য।

প্লাম্বব মেট (Plumbum Mont) : আক্রান্ত স্থানে ভয়ানক বেদনা হাত ছোয়ান যায়। স্পর্শ প্রবল পিপাসা কোষ্ঠবন্ধ সেই সুজা রক্তে মিশিয়া দুষিত হইলে ইহাতে উপকার হয়।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 তিন ঘন্টা অন্তর।

এচিনেশিয়া (Echinacea) : এপিন্ডিসাইটিস ইহা একটি উত্তম কাযকারী ঔষধ আক্রান্ত স্থানে পুজ হইয়া সেই পুজ রক্তে মিশিয়া দুষিত হইলেও ইহাতে উপকার হয়।

সেবন বিধি : শক্তি 1x,3x ৪/৬ ফোটা সামান্য ঠান্ডা জলসহ তিন ঘন্টা অন্তর ও ইহার Q বাহ্যিক প্রয়োগ করিলে উপকার হয় ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ফেরাম ফস (Ferrum Phos) : রোগের প্রথম অবস্থায় ইহা উৎকৃষ্ট ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x 2/4 বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে তিন ঘন্টা অন্তর সেবন বিচুর্ণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে বাহ্যিক প্রয়োগ করিতে হয়। পীড়ার দ্বিতীয় অবস্থায় ফেরাম ফসের সহিত ক্যালি মিউর পযায়ক্রমে ব্যবহার করিলে আরো শীঘ্র উপকার হয় ।

পথ্য ওআনিষাঙ্গিক ব্যবস্থা

চুনের জলে পশমি কাপড় ভিজাইয়া পট্রি দিলে প্রদাহ দুর হয়। জল বার্লি ও পাতলা দুগ্ধ সুপথ্য ।গুরুপাক দ্যবাদি ভোজন নিষিদ্ধ।

রোগী বিবরন : আমান উল্লা বয়স ২৮ বৎসর রায়পুরা । ১৯৯৮ সালের জুন মাসে আমার চেম্বারে চিকিৎসার জন্য আসে মাঝে মাঝে প্রচুন্ড বেদনা ।কোষ্ট বদ্ধের ধাত শারীরিকের দুর্বলতার জন্য প্রায় গুইয়া থাকিতে ইচ্ছা ।আইরিস টেনাক্স ৬-৮ ডোজ তিন ঘন্টা অন্তর সেবন করায় বেশ সুস্থ হয়ে উঠে ।তিন দিন পর 200 শক্তি ২ ডোজ দুই দিন সকালে সেবন করিতে দেওয়ায় আর ঔষধের প্রয়োজনে হয় নাই ।

ঋতুবন্ধ বা স্বল্পঋতু:

রোগ বিবরন ; শারীরিক অসুস্থতা মানসিক উৎকন্ঠ শোক দুঃখ বা ক্রদ্ধ হওয়া ঠান্ডা লাগা রক্ত স্বল্পতা দুর্বলতা শরীরে আর্নিকা সেবনে লুপ্ত কাতর খোলা জরায়ু স্বন্ধীয় কোন পীড়া আর ও ানাবিধ কারনে ঋতুস্রাব বন্ধ বা স্বল্প ঋতু হইতে পারে ।

চিকিৎসা

আর্নিকা মন্ট (Arnica Mont) : কোন প্রকার আঘাত জনিত কারণে মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হইয়া থাকিলে আর্নিকা সেবনে লুপ্ত ঋতু প্রকাশ পায় ।

সেবন বিধি : শক্তি 200 1m বা আরো উচ্চ শক্তি দুই এক মাত্রা ।

পালসেটিলা (Palsatilla) : শান্ত স্বভাব কোমল মন অভিমানী অল্প আনন্দে হাসে অল্প ব্যথাইত কাদে পরিবর্তলশীল মন গরম কাতর খোলা বাতাস পছন্দীয় এই ঋতু রোগীনীদের বন্ধ ঋতু ফিরিয়ে দিতে পালসেটিলা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 1m, 10m বা আরো উচ্চ শক্তি দুই এক মাত্রা ।ইহার 10m ব্যাবহারে উপকার পাইয়াছি ।

নেট্রাম মিউর (Natrum Mur) : মেজাজ রাগী শান্তনায় বৃদ্ধি গরমে কাতর ঠান্ডায় উপশম পৌষ মাসের প্রচুন্ড শীতে ঠান্ডা জলে স্নান না করিয়া থাকিতে পারে না ।অত্যাধিক লবন প্রিয় ।হাসিতে হাসিতে চোখে জল আসে ।অল্প কথায় মনে ব্যথা ।কেহ তাহার প্রানে ব্যথা দিলে তাহার মুখ পানে চাহিতে ইচ্ছা হয় না ।অত্যন্ত অভিমানী এই ধাতুর রোগিনীদের মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ থাকিলে নেট্রাম মিউর অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 1m,10m বা আরো উচ্চ শক্তি দুই এক মাত্রা ।

সিপিয়া (Sepea) : জরায়ু পীড়াগ্রস্থ শীত কাতর রোগিনী সন্তান প্রসবের পর অনেকদিন অতিবাহিক হইলেও ঋতুস্রাব না হইলে সিপিয়া উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 1m,10m বা আরো উচ্চ শক্তি দুই এক মাত্রা ।

থায়রয়েডিনাম (Thyroidinum) : স্ত্রীলোকের অনেকদিন পযন্ত ঋতুস্রাব বন্ধ থাকিলে এমনকি এক বৎসর যাবৎ না হইলেও এই ঔষধ সেবনে কিছুদিনের মধ্যেই ঋতুস্রাব হয় ।

সেবন বিদি : শক্তি 3x বা 6 দিনে তিন মাত্রা ।

পাইনাস ল্যাম্ব (Pinus Lamb) : যে সমস্ত স্ত্রীলোকদের ঋতুস্রাব হয় না ।অল্প পরিমানে স্রাবে একাধারে কয়েকমাস ঋতুস্রাব বন্ধ থাকিলেও এই ঔষধ সেবনে ঋতু পুনঃ পুনঃ প্রকাশ পায় ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ১০ ফোটা ঔষধ সামান্য দিনে তিন বার ।

গসিপিয়ম (Gosypium) : অনিয়মিত ঋতু মনে হয় ঋতুস্রাব হইবে কিন্ত হয় না ।এই লক্ষনে এই ঔষধ কাযকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ১০ ফোটা অর্ধ ছটাক জলসহ দিনে তিনবার সেবনে ঋতু প্রকাশ পায় ।

ক্যালি সালফ (Kali Sulph) : হাত পা চক্ষু জ্বালা ।জিহ্বা হলুদ বর্ণের স্ত্রীলোকদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব ।ঋতু প্রায়ই বিলম্বে হয় ।স্রাব পরিমানে কম ।পাইয় গায়ে লাগিয়া থাকে তাদের বেলায় এই ঔষধ ভাল খাটে ।

সেবন বিধি : শক্তি 200 1m বা আরো উচ্চ শক্তি ।মাননীয় ডাক্তার সুসলাবের বাইওকেমিক মতে 12x,30x বা 200x ৪বড়ি এক মাত্রা দিনে দুই এক মাত্রা ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ক্যালকেরিয়া ফস (Calcarea Phos) : রক্ত স্বল্প ফেকাশে দুর্বল স্ত্রীলোকেদের অনিয়মিত ঋতু দেড় দুই বা তিন মাসে ১ বার দেখা দেয় ।যাবৎ পরিমানে কম হইলে ক্যালকেরিয়া ফসে উপকার আসে ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x,12x বা আরো উচ্চ শক্তি ৪ বড়ি এক মাত্রা দিনে দুই বার ।

ক্যালি মিউর (Kali Phos) : অনিয়মিত ঋতুস্রাব স্রাব অতি অল্প ।বিলম্বিত ঋতুস্রাব দুর্গন্ধ যুক্ত ফসে উপকার আসে ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x,12x বা আরো উচ্চ শক্তি ৪ বড়ি এক মাত্রা দিনে দুই বার ।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা

স্বাস্থের প্রতি বিশেষ যন্ত রাখিবে ।সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্না থাকিবে ।মন প্রফুল্ল রাখিবে ।শোক দুঃখ বা দুশিচ্ছন্তা থেকে মুক্ত থাকা ভাল সময় মত আহার করা কর্তব্য ।দুর্বলতায় বা রক্ত স্বল্পতায় পুষ্টিকায় পুষ্টিকর খাদ্য আহার করিবে ।

রোগী বিবরন : শ্যামলি ২৮ বৎসর ।শ্যামলা বর্ণের সুন্দরী গোলগাল চেহারা খিটখিটে মেজাজ গরমে কাতর হাত পা চক্ষ জ্বাল মাঝে মাঝে হলদে বা সাদা রঙের প্রদর স্রাব ।পরিামান কম এক বা দুই দিন কিছু দেখা গেলে ও তা গায়ে লাগিয়া থাকে ।ক্যালি সালফ 1m সকালে মুখ প্রক্ষালের পর ১ ঘন্টা পর পর দুই ডোজ সেবন করিতে দেওয়ায় নিয়মিত মাসিক ও পরিমান মত স্রাব হইতে লাগল ।চতুর্থ মাস থেকে মাসিক পূর্ব রুপ ধারন করায় উপরোল্লেখিত নিয়মে 10m ব্যবস্থা করা হইয়াছিল ।এতেই রোগিনী সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয় ।

ঋতুস্রাব (রজঃস্রাব)

রোগ বিবরন : স্ত্রীলোকদের মাসিক রজঃস্রাবের ঋতুস্রাব। প্রতি ২৮ দিন পর পর ঋতুস্রাব হয়।

সাধারনত: ১২ বা ১৩ বৎসর বয়সেই ঋতুস্রাব আরম্ব হয় এবং ৪৫ হইতে ৫০ বৎসর পযন্ত ঋতুস্রাব স্ত্রীলোকদের কোন কষ্ট হয়না। এই প্রকৃতির নিয়মের তারতম্য হইলে অথাং প্রতি মাসে নিদিষ্ট সময় ঋতুস্রাব না ইহলে বা স্রাবের পরিমান কম বা বেশী হইলে কিংবা রক্তের বর্ণ পরিমান কম বা বেশী হইলে কিংবা রক্তের বর্ণ পরিবর্তন হইলে অথবা প্রতি মাসে ২/৩ বার ঋতুস্রাব দেখা দিলে রুপ বেদনা যন্ত্রনা থাকিলে ঋতু সম্বন্ধীয় কোন পীড়া হইয়াছে জানিতে হইবে ।

চিকিৎসা

হ্যামামেলিস (Hamamaelis) : ঋতুস্রাব রক্তের রং কালো ঘন চাপ চাপ চাকা চাকা রক্ত স্রাবীয় স্থানে আঘাত লাগায় মত বেদনা। ইহাতে হ্যামামেলিস উপকারী।

সেবন বিধি : শক্তি Q চার ফোটা সামান্য জল সহ তিন ঘন্টা অন্তর।

মিলিফোলিয়ম (Millefolium) : রক্তের রং টকটকে লাল। প্রচুর রক্ত স্রাব সত্তেও বেদনা যন্ত্রনা থাকে না বেদনা বিহীন রক্ত স্রাব মিলিফোলিয়ামে অব্যর্থ।

সেবন বিধি : শক্তি Q চার ফোটা সামান্য জল সহ তিন ঘন্টা অন্তর।

কলোফাইন (Caulophyllum) : ঋতুস্রাব জনিত কোমরে তলপেটে ভীষন বেদনা স্রাব অল্প বা অধিক যাহাই হউক বেদনায় রোগীনী মিলিফোনিয়ামে অব্যর্থ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ৪ ফোটা অর্ধ ছটাক জলসহ অর্ধ বা এক ঘন্টা পর সেব্য।

পালসেটিলা (Pulsatilla) : নম্র স্বভাব কোমল মন অভিমানী সহজে কাদে বা হাসে গরমে কাতর খোলা বাতাস পছন্দ করে তাহাদের অনিয়মিত ঋতু স্রাব অনেক বিলম্বে হয়। পরিমানে অতি অল্প জরায়ুতে বেদনা ঋতুস্রাব থামিয়া থামিয়া হয় ।স্রাবের রং কালচে চাপ চাপ আবার কখনও জলের মত বর্ণহীন ইত্যাদি লক্ষনে ইহা উপকারী ।মাসে দুইবার ঋতুস্রাব ইহা ব্যবহারে উপকার পাইয়াছি ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ফোটা সামান্য জলের সহিত দিনে ৪ বার সেব্য। 6,30 বা 200 ব্যবহারে ও উপকার হয়।

জনোসিয়া অশোকা (Jonosia Asoka) : অনিয়মিত ঋতুস্রাব দেখা দিবার পূর্বে কোমড়ে তলপেটে বেদনা ঋতু প্রায়ই বিলম্বে হয়। ২/৩ মাস অন্তর স্রাব হইতে দেখা যায়। বিলম্বে অনিয়মিত রজঃস্রাব ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ৮/১০ ফোটা সামান্য জলসহ প্রত্যাহ তিন বার সেবনে ঋতু স্বাভাবিক হয়।

ক্যালি সালফ (kali Sulph) : গ্রীষ্ম কাতর খিট খিটে স্বভাব হাত পা জ্বালা এই ঋতু রোগীনী অনিয়মিত ঋতুস্রাব। স্রাব পরিমানে অল্প দেড় দুই বার তিন মাস অন্তর ঋতুস্রাব হয়। এই রোগীনীদের ক্যালি সালফ প্রয়োগে ঋতু স্বাভাবিক হইয়া স্রাবের পরিমান বৃদ্ধি হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগে 1m,10m বা আরো উচ্চ শক্তি ।

ভাইবর্ণাম অপু (Viburum OP) :ঋতুকালে অত্যন্ত যন্ত্রনাদয়ক বেদনা ।ঋতুস্রাব আরম্ব হইবার ২/১ দিন পূর্ব হইতে প্রচন্ড বাধক বেদনা দেখা দেয়। বেদনায় চোটে রোগীনী ক্রমশ: রক্ত হীন ফেকাশে দুর্বল হইয়া পড়ে ।

সেবন বিধি :শক্তি 6 বা 30 প্রত্যাহ তিন মাত্রা পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি।

সিকেলি কর (Secale Cor) : রক্ত শূন্যা ফেক্যাশে দুর্বল রোগীনীদের শরীর ঠান্ডা ভিতরে জ্বালা গরমে কাতর কোন রুপ গরম সহ্য করিতে পারে না। আবৃত থাকিতে চায় না ।গায়ের এই সমস্ত রোগীনীদের একবার ঋতুস্রাব দেখা দিলে তাহা আর বন্ধ হইতে চায় না ।স্রাব কখনও অল্প কখনও অধিক কালচে ঘোলাটে স্রাবে অত্যান্ত দুর্গন্ধ স্রাব অনেক দিন পযন্ত চলিতে থাকে ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ৩/৪ ফোটা তিন ঘন্টা অন্তর ।6,30 বা 200 ও উপকার হয়।

আর্সেনিক আয়োড (Arsenice Lod) : ঋতু নিয়মিত সময়ের পূর্বে অর্থাৎ মাসের মধ্যে ২/৩ বার হয় ।স্রাব পরিমানে অত্যন্ত অধিক। রোগীনীদের দিন দিন দুর্বল হইয়া পড়ে ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x দিনে তিন মাত্রা ।ঔষধ সেবনের সয়ম জল পান নিষিদ্ধ । পুরাতন রোগে 30, 200 বা আরো উচ্চ শক্তি।

স্যাবাইনা (Sabina) : রক্তের রং লাল বা ঘোলাটে বা চাপ চাপ নড়াচড়ায় রক্ত স্রাবের বৃদ্ধি ।কোমড়ে তলপেটে বেদনা। স্রাব থামিয়া থামিয়া হইতে থাকে।

সেবন বিধি : শক্তি 1x,2x বা 3x ৩-৪ ফোটা তিন ঘন্টা অন্তর । 30 শক্তি ব্যাবহারে উপকার হয় । ইহার 2x ব্যাবহরে অনেক রোগীতে উপকার পাইয়াছি।

জ্যান্থজাইলম (Xanthoxylum) : এই ঔষধ বাধক বেদনায় উত্তম কাযকারী ঋতু সময়ে অসমেয়ে অথাঃ ২-৪ মাস বন্ধ থাকিয়া রজস্রাব দেখা দেয় ।স্রাব পরিমানে অধিক কোন সময় অল্প পেটে ভীষন বেদনায় রোগীনী দিন অস্থির হইয়া পড়ে ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ৩-৪ ফোটা প্রত্যাহ তিন চার বার কিছু অধিক দিন সেবন বিধি অধিক দিন করিলে ঋতু স্বাভাবিক হয় ।

এব্রোমা র্যাডিক্স (Abroma Radix) : ঋতুস্রাব দেখা দিবার সময়ের বা পূর্ব হইতে তলপেটে বেদনা হইতে থাকে। স্রাব কাল চাপ চাপ অনেক দিন ধরিয়া চলিতে থাকে ঋতুকালীন সময়ে মাথা ঘুরায় বমি বমি ভাব ।স্রাব কখনও অল্প কখনও পরিমানে অধিক ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ৪ ফোটা সামান্য জলসহ পত্যহ চার বার ।

এমন কার্ব (Ammon Carb) : ঋতুস্রাবের পূর্বে ও পরে তলপেটে ব্যথা কোলো রংয়ের রক্ত স্রাব পরিমানে অধিক ।ঋতুস্রাব আরম্ব হইলে উদরাময় দেখা দেয় ।ইহা এই ঔষধের বিশেষ লক্ষন ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 চার ঘন্টা অন্তর ।

বেলেডোনা (Belladona) : রক্তের রং লাল স্রাবের সময় যোনী দ্বারে গরম অনুভব হয় । সবিরাম বেদনার সহিত গরম রক্ত স্রাব মাথায় দপদপানি ব্যথা ।ইত্যাদি লক্ষনে বেলেডোনা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 3x ৪ ফোটা দুই ঘন্টা অন্তর । 6, 30 বা 200 উপকারী।

সিনিসিও (Senecio) : মাসিক ঋতুস্রাবের গোলযোগ যেন লাগিয়াই থাকে। ঋতুস্রাব আরম্ব হইলে বাধক বেদনা দেখা দেয় অধিখ পরিমানে রক্তস্রাব হইতে থাকে ।ঋতু বন্ধ হইলে আর সঠিক সময়ে স্রাব হয় না ।কাশি দেখা নয় কাশির সহিত রক্ত উঠে ।আবার ঋতুস্রাব আরম্ব হইলে কাশি থাকে না ।অনিয়িমিত ঋতুস্রাব জনিত নানা উপসর্গ ইহা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ৪ ফোটা সামান্য জলের সহিত প্রত্যহ চার বার ।

ট্রিলিয়ম (Trillium) : উজ্জ্বল লাল বর্ণের রক্ত কোমরে তলপেটে উরুতে বেদনা স্রাব অনেক দিন পযন্ত চলিতে থাকে । স্রাব কিছুতেই বন্ধ হইতে চায় না ।নড়াচড়ায় স্রাবের বৃদ্ধিতে ইহা অমোঘ ।

সেবন বিধি ; শক্তি Q ৪ ফোটা সামান্য জলসহ প্রত্যহ চার বার ।

চায়না (China) : উজ্জ্বল লাল বর্ণের রক্ত স্রাব রক্ত অল্পেই চাপ বাধিয়া যায়। অুধক পরিমান রক্ত স্রাব হইতে হইতে রোগীনী রক্ত শূন্য ফেকাশে দুর্বল হইয়া পড়ে ।সমস্ত শরীরে ঠান্ডা হইয়া যায় ।ইহাতে চায়বা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 1x ৪ ফোটা সামান্য জলসহ তিন ঘন্টা অন্তর। 3x 6,30 বা 200 উপকারী ।

অষ্টিলেগো (Ustilago) : রক্তস্রাব একটু একটু করিয়া হইতে থাকে। দুই এক দিন বন্ধ থাকিয়া পুনরায় দেখা দেয় ।এই ভাবে অনেক দিন পযন্ত চলিতে থাকে ।

সেবন বিধি : শক্তি 2xবা 3x ৪ ফোটা করিয়া দিনে চার বার।

কার্বোভেজ (Corbo Vag) : কাল বর্ণের রক্তস্রাব পরিমানে অল্প। স্রাবে পচা দুর্গন্ধ অনেক দিন পযন্ত স্রাব হইতে থাকে। রোগিনী রক্ত শূন্য দুর্বল হইয়া যায় হাত পা ঠান্ডা রোগীনী পাখার বাতাস চায় ।ইহা কার্বোভেজের বিশেষ লক্ষন ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 তিন ঘন্টা অন্তর ।

পাইনাস ল্যাম্ব (Pinus Lamb) : যে ন্ত্রীলোকের ঋতুস্রাব পরিস্কার হয় না অল্প পরিমান হয়। কিংবা ঋতুস্রাব বন্ধ থাকিলে ইহা সেবনে লুপ্ত উতু প্রকাশ পায়।

সেবন বিধি : শক্তি Q ১০ ফোটা অর্ধ ছটাক জলসহ দিবসে তিন বার সেবন করিতে হয় ।

গসিপিয়ম (Gossypium) : ঋতুস্রাব অনিয়িমত মনে হয় স্রাব প্রকাশ পাইবে কিন্ত হয় না। এই লক্ষনে ইহা উপকারী।

সেবন বিধি :শক্তি Q ১০ ফোটা অর্ধ ছটাক জলসহ প্রত্যাহ তিন বার সেবনে ঋতু প্রকাশ পায়। গর্ভবস্থায় ইহার Q অধিক পরিমানে সেবনে গর্ভপাতে হয় ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ক্যালকেরিয়া ফস(Calcarea) : জীর্ণ শীর্ণ বালিকাদের মাসে দুই বার কিংবা দুই তিন মাস ঋতুস্রাব হয়। অথাৎ অনিয়মিত ঋতুস্রাব ইহা একটি কাযকারী ঔষধ ।বয়স্ক মহিলাদের ঋতুস্রাব দেড় দুই বা তিন মাস অন্তর ও হইতে দেখা যায় ।স্রাবের সময় পেটে বেদনা হইতে থাকে ।অনিয়মিত ঋতুস্রাব ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 12x বা 30x ৮ বড়ি এক মাত্রা প্রত্যাহ তিন বার ।হোমিও মতে 200 বা 1m ব্যাবহারে উপকার পাইয়াছি।

ফেরাম ফস (Ferrum Phos) : উজ্জ্বল লাল বর্ণের রক্ত স্রাবে ফেরাম ফস উপকারী। ঋতুস্রাব কোন রুপ বেদনা থাকিলে উক্ত ঔষধের সাথে ম্যাগ্নে শিয়া ফস পযায়ক্রমে ব্যবহারে খুব শীঘ্র্র্র্র উপশম হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x ৪ বড়ি এক মাত্রা গরম জলসহ পুনঃ পুনঃ সেব্য।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা

আলস্য স্বাভাব পরিত্যাগ করা উচিৎ। প্রত্যুষ্যে শয্যা ত্যাগ করা ভাল। শীতল জলে স্নান উপকারী শ্রম বা ব্যায়াম করা উচিৎ ।অধিক উচিত ঋতুবতি রমনী অধিক চলাফেরা বা পরিশ্রম করা অনুচিত। বেদনা কালীন পেটে গরম সেক দেওয়া ভাল ।

রোগী বিবরন : লায়লা পাবভীন বয়স ২২ বৎসর দুই সপ্তাহে যাবৎ মাসিক রজঃস্রাব এক সময় ঘোলা ।অনেক চিকিৎসা হইয়াছি। আরোগ্য হয় নাই। পরিশেষে হোমিও চিকিৎসা সেবাইনা 2-6 ফোটা সামান্য জলসহ তিন ঘন্টানা অন্তর কয়েক মাত্রা সেবনেই আরোগ্য হইয়া উঠে ।পরে 30 দিনে তিন বার চার মাত্রা ব্যাবহারেই সম্পূর্ণ আরোগ্য হয় ।