গ্যাংরীন (পচনশীলক্ষত)

রোগ বিবরন : অস্বাস্থাকর স্থানে বাস অত্যন্ত দুর্বলতা রক্ত হীন পুষ্টির অবাব অন্যন্যা কঠিন রোগ ভোগের পর ও এই রোগ হইতে দেখা যায় ।

চিকিৎসা

কার্বোভেজ (Carbo Veg) ; গ্যাংরীনের ক্ষত হইতে দুর্গন্ধ যুক্ত ও কলতানির মত রস ঝড়ে ।অগভীর ক্ষতে অত্যন্ত জ্বালা যন্ত্রনা সেই যন্ত্রনা রাত্রে বৃদ্ধিতে ইহা অমোঘ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 200 তিন ঘন্টা অন্তর ।

ল্যাকে সিস (Lachesis) : গ্যাংরীনের ক্ষতের ধার বেগুনী রংয়ের ভীষন জ্বালা যন্ত্রনা নিদ্রার উপক্রমের বা নিদ্রা ভঙ্গ হইলে যন্ত্রনার বৃদ্ধি ।শরীরের বামদিকে পীড়ার উৎপত্তির ল্যাকে সিস অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 200 সকাল বিকাল দিনে দুই মাত্রা ।

আর্সেনিক এলব (Arsenic Alb) : গ্যাংরীনের ক্ষতে ভীষন জ্বালা সেই জ্বালা যন্ত্রনা দিনে বা রাত্রে ১২ টায় ।বৃদ্ধি উত্তাপে উপশম বহুমূত্র রোগীদের গ্যাংরীন বা পচনশীল ক্ষতের ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শকিত্ 200 সাকল বিকাল দিনে দুই বার ।

ক্রোটেলাস (Crotalus ) : কার্বাস্কল কিংবা কোন পচন শীল ক্ষতের চারিধার শক্ত কালচে বা নীল রঙের দেখা যায় ।গ্যাংরীনে পরিনত হয় ।রোগী ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ে ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 প্রত্যাহ দিনে এক মাত্রা ।

এচেনিশিয়া (Echinacea) : গ্যাংরীন কার্বস্কল কিংবা পচনশীল ক্ষতে ভীষন দুর্গন্ধ হইলে ইহা উপযোগী ।

সেবন বিধি : শক্তি 1x,2x,3x বা 6 ফোটা সামান্য জলসহ তিন ঘন্টা অন্তর সেবন ও ইহার Q বাহ্যিক পয়োগে ক্ষত আরোগ্য হয় ।

ট্যারেন্টুলা (Tarentula) : গ্যাংরীন বা পচনশীল ক্ষতে ভয়ানক জ্বালা যন্ত্রনা হুল ফোটানো বেদনা গায়ে জ্বালা ইত্যাদি লক্ষনে ইহা উপযোগী ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 চার ঘন্টা অন্তর ।

আর্সেনিক আয়োড (Arsenic Iod) : বগল বা কুচকিতে বাগী সেই বাগীতে দপদপানি ব্যথা থাকিলে ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 3.x তিন ঘন্টা অন্তর ।6,30 বা 200 ও উপকারী ।

গ্র্যাফাইটিস (Graphites) : মোটা স্থলকায় শীত কাতর চর্ম পীড়া গর্থ রোগীর চোখের পাতায় কর্ণশূল মাথায় বা শরীরের কোন স্থানে শক্ত গ্ল্যান্ড ইহা উপযোগী ।

সেবন বিধি : শক্তি 200 সকাল বিকাল দিন দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি সকালে এক মাত্রা ।

মার্কুরিয়াস সল (Mere Sol) : বগল কুচকি বা শরীরের কোন স্থানে বেদনাবিহীন শক্ত গ্ল্যান্ড বা বাগী ।রাগী অধিক গরম বা অধিক ঠান্ডা সহ্য করিতে পারে না ।

সেবন বিধি : শক্তি 200 সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

ট্রাইফোলিয়ম (Trifolium) : কর্ণমূল ফোলা অর্থাৎ কানের লতির নিচে ফোলা খুব শক্ত তাহাতে বেদনা চোয়ালের নীচে গ্ল্যান্ড শক্ত ও বেদনামুক্ত হইলে ট্রাইফোরিয়ান বিফলে যায় না ।ইহা ব্যবহার করিয়া অনেক কর্ণ গ্ল্যান্ড রোগী আরোগ্য হইয়াছে ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 বা 200 শক্তি ব্যবহার ও উপকার হয় ।

এলনাস (Alnus) : নিম্ন চোয়ালে বা শরীরের কোন স্থানে শক্ত গ্ল্যান্ড বেদনা থাক বা নাই থাক গ্ল্যান্ডের ফোলায় ইহা উপকারী ।ছোট বড় উভয় গ্ল্যান্ড হাত ব্যবহায ।

সেবন বিধি : শকিত্ 6 বা 30 দিনে তিন বার ।পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি ।

ক্যালকেরিয়া আয়োড (Calcarea Iod) : স্তনে মার্বেলের মত শক্ত গ্ল্যান্ড ।হাত দিলে এদিক সেদিক ফোলায় ইহা উপকারী ।তাই নাড়িকেল ব্যথা বোধ হয় ।

সেবন বিধি : শকিত্ 3x দিনে তিন বার ।6, 30 বা 200 ব্যবহারে ও উপকার হয় ।

আইওডিয়াম (Iodium) : খিট খিটে মেজাজ অত্যন্ত গরম কাতর ঠান্ডায় সে ভাল থাকে ।ঠান্ডা সে ভালো বাসে ।এই ধাতুর রোগীদের বেদনাবীহীন ছোট বড় শক্ত গ্ল্যান্ড আয়োডিম উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দিনে এই মাত্রা ।পুরাতন রোগে 200 সকাল বিকাল উচ্চ শক্তি ।পূর্ণিমার পর দিন সেবনে উপকার অধিক পাওয়া যায় ।

ব্রোমিয়ম (Bromium) : চোয়ালের নিচে গলায় বা বাম দিকে করণমূলে শক্ত গ্ল্যান্ড গরম কাতর রোগীর পাথরের মত শক্ত গ্ল্যান্ডে ইহা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দিনে তিন মাত্রা ।পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

ফেরাম ফস (Ferrum Phos) : গ্ল্যান্ড বা বাগীর প্রথমবস্থায় স্ফীত দপনপানি ব্যথায় ইহা উপকারী ।দ্বিতীয় বস্থায় ক্যালি মিউর সহ পর্যাক্রমে সেবন করিলে উক্ত ব্যথায় পীড়া খুব শীঘ্র আরোগ্য হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে তিন ঘন্টা অন্তর ।

ক্যালকেরিয়া ফ্লোর (Calcarea Flour) : পাথরের মত শক্ত গ্যাল্ড পীড়ায় ইহা উপযোগী ।

সেবন বিধি : শক্তি 12x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে প্রত্যহ দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি ।

সাইলেসিয়া (Silicea) : বাগী পাকিবার উপক্রম হিইলে ইহা উপাযোগী ।

সেবন বিধি : শক্তি 12x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে গরম জলসহ তিন ঘন্টা অন্তর সেবনে বাগী ফাটিয়া পুজ বাহির হইয়া যায় ।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা

ভাত রুটি শাক সজি ফল মূল সুপথ্য ।মাংস ডিম নিষিদ্ধ ।বাগীতে বেদনা যন্ত্রনা হইলে বিশ্রাম নেওয়া আবশ্যক ।বাগীতে বেদনা থাকিলে লবনের পুটলী গরম করিয়া সেক দিলে উপকার হয় ।বাগী বেদনা বয়স অনুপাতে থাকিলে লবনের গরম জলসহ তিন ঘন্টা ময়দার পুলটিস লাগাইলে পাকিয়া ফাটিয়া যায় ।

রোগী বিবরন : রহীম ৮ বৎসর দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্র ।প্রায় সাত আরো আট মাস যাবৎ ঘাড়ের ডাইন পার্শে মার্বেলের চেয়ে ছোট একটি চেয়ে এক আরো দুইটি গ্ল্যান্ড চিকি’সা তেমন কিছু নাই ।ব্যারাাইটা মিউর 200 সকাল বিকাল দুই মাত্রা এক মাত্রা পর কোন উপকার না পাইয়া ঔষধ 1m দুই মাত্রা ।দুই সপ্তাহ পর গ্ল্যান্ড গুলো বেশী কিছু কমিয়াছে ।ঔষধ না দিয়া দুই মাত্রা প্লাস্টিক পুনারায় ১০ দিন পর আর বিশেষ কোন উন্নতি না দেখিয়া ব্যারাইটা মিউর 10m এক মাত্রা দেওয়ায় আস্তে আস্তে গ্ল্যান্ডের অদ্রশ্য হয়ে যায় ।