কোষ্ঠবদ্ধ (কোষ্ঠ কাঠিন্য)

রোগ বিবরন : কোন রুপ শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করা রাত্রী জাগরন অনিয়মীত আহার মাদক দ্রব্য সেবন মল বা মূত্র ত্যাগ চাপিয়া রাখা সময় মত মল ত্যাগ না করা শোক দুঃখ বা ভয় পাওয়া পেটে কোন রুপ আঘাত লাগা প্রভুতি কারনে কোষ্টবদ্ধ জম্মাইতে পারে ।

চিকিৎসা

এলুমিনা (Alumina) : ভীষন কোষ্ঠ বদ্ধ দুই তিন দিনে পায়খানার ইচ্ছা হয় না ।শুকানো বা নরম মল জোড়ে কোথ না দিলে নির্গত হইতে চায় না ।কৃত্রিম দুগ্ধ পালিত শিশুদের কোষ্ঠবদ্ধতায় ইহা উত্তম কাযকারী।

সেবন বিধি : শক্তি 6,30 দিনে তিন বার বা 200 প্রত্যাহ দুই মাত্রা ।পুরাতন কোষ্ঠবদ্ধতায় 1m বা 10m সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

ম্যাগনেশিয়া মিউর) : Magnaesia Mur) : শুস্ক মল গাট গাট হইয়া ভাঙ্গিয়া নির্গত হয় ।মাঝে মাঝে মলের গায়ে আম জড়িত দেখা দেয় ।শিশুদের কোষ্ঠ বদ্ধতায় ইহা উত্তম কাযকারী ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দিনে তিন বার ।পুরাতন রোগীর জন্য 200 বা 1m সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

হাইড্রাসটিস (Hydrstis Can) : জীর্ণ শীর্ণ দুর্বল রোগীদের কোষ্ঠবদ্ধতায় দুই তিন দিনে একবার পাযখানার বেগ হয় না ।নতুন বা পুরাতন কোষ্ঠবদ্ধতায় জোলাপের অভ্যাস বশত কোষ্ঠবদ্ধতায় ।গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর কোষ্ঠবদ্ধতায় উপারী ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ২-৩ ফোটা সামান্য ঠান্ডা জল সহ পত্যহ সকালে একবার সেবন করিলে কোষ্ঠবদ্ধ দূর হয় ।স্তন্যপায়ী শিশুদের কোষ্ঠবদ্ধতায় ২০০ বা 1m শক্তি সকাল বিকাল দুই মাত্রা সেবনেই উপকার হয় ।শক্তি কৃত ঔষধে উপকার না হইলে হাইড্রোসিস Q এক ঘন্টা সামান্য জলসহ সকাল বিকাল দিনে দু্ই বার ।

প্লাম্বব মেট (Plumbum Met) : কোষ্ট বদ্ধতায় শক্ত মল ।ছোট ছোট গোল বলের মত নির্গত হয় ।মাঝে মল দ্বার হইতে আঙ্গুলে দিয়া মল বাহির করে ।উক্ত প্রাকরের কোষ্ঠবদ্ধতায় ইহা অমোঘ ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 প্রত্যাহ দুই মাত্রা পুরাতন রোগীর আরো উচ্চ শক্তি ।

ওপিয়ম (Opium) : পেটে প্রচুর মল জমিয়া থাকিয়াও পায়খানার বেগ হয় না ।যদি ও দুই তিন দিন পর পায়খানা হয় কালো রঙের ঘুটলে মল অতি নির্গত হয় ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 প্রত্যহ দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগীর জন্য আরো উচ্চ শক্তি ।

প্লাটিনা (Platina) : ভীষন কোষ্টবদ্ধ শুকানো মল অতি কষ্টে নির্গত হয় ।মাঝে মাঝে কাদার মত নরম হয় ।মল গুহ্যদ্বার বা প্রসুতিদের কোষ্ঠ বদ্ধতায় ইহা উৎকৃষ্ট ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 পত্যাহ দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগীর জন্য আরো উচ্চ শক্তি ।

ল্যাক ডিফ্লোর (Lac Deflo) : শুকনা শক্ত মল খুব বেগ দিলে লম্বা হইয়া অতি কষ্টে নির্গত হয় ।গর্ভিনী বা প্রসুতিদের কোষ্ঠবদ্ধতায় বেগ দিলে লম্বা হইয়া অতি কষ্ঠে নির্গত হয় ।গর্ভিনী বা প্রসুতিদের ইহা উৎকৃষ্ট ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল প্রত্যহ দুই মাত্রা ।

ইলাটিরিয়ম (Elaterium) : এই ঔষধটি কোষ্ঠ বদ্ধতায় একটি চমৎকার ঔষধ ।

সেবন বিধি : শক্তি Q ৩-৪ ফোটা । অর্ধ ছটাক জলসহ প্রত্যাহ সকালে এক বার সেবন করিলে কোষ্ঠবদ্ধতায় দূর হয় ।

ব্রাইওনিয়া (Bryonia Alb) : কোষ্ঠবদ্ধ দুই এক দিন পর পর শুকনা মল অতি কষ্টে লম্বা হইয়া নির্গত হয় ।কোষ্ঠবদ্ধতায় জন্য প্রায়ই মাথা ধরা থাকে ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 প্রত্যহ সাকল বিকাল দুই মাত্রা ।

ভেরেস্ট্রাম এলব (Veratrum Alb) : কালো বর্ণের শুকনা মল অতি কষ্টে নির্গত হয় ।পায়খানার বসিয়া কোথ দিতে কপালে ঠান্ডা গাম দেখা যায় ।কপালে ঠান্ডা ঘাম ভেরেষ্ট্রামের প্রধান পরিচয় ।শিশুদের কোষ্ঠবদ্ধতায় ইহা বিশেষ কাযকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই মাত্রা ।

স্যানিকিউলা (Sanicula) : কোষ্ঠ বর্ধে উচ্চ শক্তি ঔষধ ।পেটে অধিক পরিমানে মল জমিয়া থাকিয়াও পায়খানার হয় না ।অত্যন্ত বেড় দিলে অতি কষ্টে শুকানা মল গুড়া গুড়া হইয়া নির্গত হয় ।মল ভীষন দুর্গন্ধ ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

সেনা (Senna) : শিশু যুবক বা যবতী পূর্বে বেশ হ্রদ পুষ্ট ছিল । রোগ শোক কিছুই খুজিয়া পাওয়া যায় না ।কিন্ত ক্রমশ জীর্ণ শীর্ণ কস্কাল সাড় হইয়া পরিয়াছে ।তাদের কোষ্ঠ বদ্ধতায় ইহা অমৃত বৎ কাযকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।

বাইওকেমিক চিকিৎসা

নেট্রাম মিউর (Natrum Mur) : অত্যাধিক লবন প্রিয় রোগীদের কোষ্ঠবদ্ধ উপকারী ।শুকনা মল খুব জোড়ে বেগ না দিলে বাহির হয় না ।মল নির্গত হইতে প্রায়ই গুহ্যদ্বার ফাঠিয়া রক্ত পড়ে ।

সেবন বিধি : শকিত্ 12x, ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়ষ অনুপাতে প্রত্যহ দুই বার ।হোমিওপ্যাথিক মতে ইহার 200 1m আরো উচ্চ শক্তি ফলদায়ক ।

ক্যালি মিউর (Kali Mur) : জিহ্বায় সাদা প্রলেপযুক্ত রোগীদের কোষ্ঠবদ্ধতায় ইহা উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দিনে তিন বার ।

ক্যালকেরিয়া ফ্লোর (Calcarea Flour): গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর প্রসূতিদের ঢুকিয়া যায় ।এই প্রকারের কোষ্ঠবদ্ধতায় উপকারী ।

সেবন বিধি : শক্তি 12x ৪ বড়ি এক মাত্রা দিনে দুই বার ।

সাইলেসিয়া (Silicea): মল ত্যাগ কালে মল কতটা বাহির হইয়া আবার ভিতরে ঢুকিয়া যায় ।এই প্রকারের কোষ্ঠবদ্ধতায় ইহা অব্যর্থ ।

সেবন বিধি : শক্তি 6x বা 3x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দিনে দুই বার ।বাইওকেমিক ঔষধ গরম জলসহ সেবনে অধিক উপকার হয় ।

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা

নিয়মিত ভ্রমন সহ্যমত ব্যয়াম সময় মত স্নান আহার অধিক পরীমান কারন সম্বদ্ধে করা হিতকর ।খেজুর কিসমিস পেপে বিভিন্ন প্রকারের পাকা আহার করা ভাল ।গরম দুগ্ধ পান করিলে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয় ।উদরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জন্মীয়া মারাত্নক ।ইহার চিকিৎসা অত্যন্ত সুকঠিন ।মানসিক সর্ব দৈহিক দেহাংশিক লক্ষন সংগ্রহ করিয়া নিদি্টি ঔষদের সাহায্য লইতে না পারিলে এই রোগ আরোগ্য সম্বব নয় ।