রোগ বিবরন : প্রথম গাত্র চর্মের উপর হরিদ্রা বর্ণের আভাযুক্তি লাল দাগ পড়ে ।ঐ আক্রান্ত স্থান অসাড় বলিয়া রোধ হয় ।হাত পা মুখমন্ডল কানে এই রোগে অধিক হয় ।রোগ আক্রন্ত স্থানে চর্ম মোটা হইয়া ফুলিয়া চেহারা বিশ্রী হইয়া যাবে ।উপদংশ বা পারদ দোষ অপরিস্কার থাকা অধিক দিন মদ্যপান আরও নানাবিধ কারনে এই রোগ জম্নেইতে পারে ।পিতা মাতা হইতে সন্তান এই রোগে আক্রান্ত হইতে পারে ।
চিকিৎসা
এনাকার্ডিয়াম অক্সি (Anacardium Oce) : ইহা কুষ্টব্যাধির খুব ভাল ঔষধ ।আক্রান্ত স্থানের চর্ম মোটা হইয়া আস্তে আস্তে ক্ষতে পরিনত হয় ।তথায় হাইড্রোকোটাইল উপকোরে আসে ।
সেবন বিধি : শক্তি Q ৬ ফোটা সামান্য জলসহ দিনে ৩ বার সেব্য ।
ক্যালোট্রপিস (Calotropis) : শুনিয়াছি ইহা কুষ্ট ব্যাধির ভাল ঔষধ ।নিয়মিত কিছু অধিক দিন সেবন করিলে আরোগ্য উপকার হয় ।
সেবন বিধি : শক্তি Q চার ফোটা সামান্য ঠান্ডা পানিসহ দিনে ৪ বার ।
স্কুকুম চক (Skookun Chuok) : ইহা কুষ্ঠ ব্যাধির একটি ভাল ঔষধ ।নিয়মিত কিছুদিন সেবন করিলে আরোগ্য হইতে পারে ।
সেবন বিধি : শক্তি 3x দিনে তিন বার ।
হোয়াং নন (Hoang Nan) : ইহা ব্যাধির উত্তম ঔষধ ।ইহা সেবনে কুষ্ঠ ব্যাধি উপশম হয় ও রোগীর বল শক্তি বৃদ্ধি পায় ।
সেবন বিধি : শক্তি 3x দিনে ৮/১০ ফোটা দিনে ৩ বার ৪ বার ।
পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা
আতপ চাউলের অন্ন দুধ ঘি টক ব্যতীত যাবতীয় ফল মূল সুপ্যা ।মাছ মাংস ডিম তৈল বা তৈল জাতীয় খাদ্য ।মধ্যপান স্ত্রী সহবাস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ।কষ্ঠ রোগে আক্রান্ত রোগীকে পরিবার থেকে আলাদা করে পথক ঘরে রাখিয়া চিকিৎসা করিবে ।
রোগী বিবরন : মোহাম্মদ আলী যাদু মাস্টার ছগরিয়া পাড়া নরসিদী গৃহ শিক্ষক ।তিন মাস যাবৎ ডান পায়ের গোড়ালির উপরে কতটুকু স্থান স্পর্শ অনুভুতি ছিলনা ।চিমটি দিলেও ব্যথা অনুভব হইতে না অসাড় বোধ দহইত অবশ বলিয়া ১৯৬৮ সালে লভেম্বরে মাসে আমার নিকট আসে ।উপরে উল্লেখিত লক্ষনে এনাকার্ডিয়াম অক্সি 6 দিনে ৩ বার এক কয়েক মাত্রা সেবন করায় এই দুররোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পান ।