রোগ বিবরন : পরিপাক যন্ত্রের পীড়ার একটি লক্ষন। কৃমি গ্রস্ত রোগী কিংবা বহুদিন ধরিয়া কোন কঠিন পীড়া ভোগ করার পর এই অস্বাভাবিক ক্ষুধা হইয়া থাকে ।
চিকিৎসা
আয়েডিয়াম (Iodium) : এই ঔষধের রোগী অত্যন্ত গরম কাতর ঠান্ডা ভালবাসা ঠান্ডায় সে ভাল থাকে । গরম সহ্য করতে পারেনা গরমে তাহার সকল যন্ত্রনা বাড়ে । এই ধাতুর রোগীদের ক্ষধা যেন লাগিয়াই থাকে ।খাওয়ার পরক্ষনেই আবার খাইতে চায় । খাওয়ায় জন্য হাউ মাউ করে ।খাবার কাছে না পেলে কান্না কাটি জুড়েয়া দেয় । বিশেষেত শিশুদের বেলায় এই রোগটি অধিক দেখা যায় । আয়োডিয়াম তাহাদের পরম বন্ধু ।
সেবন বিধি ; শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই বার । পুরাতন রোগে 1m বা 10m ।
সিনা (Cina) : অত্যন্ত রাগী শীত কাতর মিষ্টি খাইতে ভালবাসে ।এই প্রকৃতির শিশু অস্বাভাবিক ক্ষুধায় কাতর ।সর্বদাই জন্য ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান করে ।খাওয়ায় পরই আবার খাইতে চায় ।তাহাদের সিনা অব্যর্থ ।
সেবন বিধি : শক্তি 3x 30 বা 200 সকাল বিকাল উত্তম দুই মাত্রা ।1m, 10m ব্যাবহারে উপকার পাইয়াছি ।
সারাসিনিয়া (Sarracenia): এই ঔষধটি অদ্ভুদ ক্ষুধার ঔষধ ।আহার করিবার অস্বাভাবিক পর আবার ক্ষুধা আবার আহার এমনকি রাস্থায় বেশী ক্ষন চলিতে গেলে খাবার সঙ্গে করিয়া নিতে হয় ।ক্ষুধার সময় খাবার না নাইলে দুর্বল হইয়া পরে ।এই রোগীদের সারাসিনিয়া একটি উত্তম ঔষধ ।
সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে দুইমাত্রা ।
বাইওকেমিক চিকিৎসা
নেট্রাম মিউর (Natrum Mur) : অত্যাধিক লবন প্রিয় মেজাজ রাগী গরমে কাতর প্রচুর জল পিপাসা রাক্ষসে ক্ষুধা সমস্ত দিন রাত্রী শুধু খেতে চায় ।প্রচুর খাবার সত্তে দিনে দিনে শরীর শুকাইয়া যায় ।ঘাড়ের শীর্ণতা অধিক ।ইত্যাদি লক্ষনে ইহা অব্যর্থ ।
সেবন বিধি : শক্তি 12x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা ।বয়ষ অনুপাতে দিনে দুই মাত্রা ।
পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা
অস্বাভাবিক ক্ষুধার রোগীদের নিয়মিত সহজে পরিপাক হয় এই রুপ খাদ্য আহার করিতে দিবে। গুরুপাক দ্রব্য ভোজন রাত্রি জাগরন নিষিদ্ধ ।
রোগী বিবরন : মাধবদী শহরের নিকটবর্তী আবু সুফিয়ান নামে এক যুবক ৬ মাস যাবৎ অতি ক্ষুধা রোগে ভোগে । এই অদ্ভুদ ক্ষুধার রোগী দিনে ৫-৭ বার আহার না করিলে দুর্বল হইয়া পড়ে ।অধিক পথ চলিতে হইলে খাবার সঙ্গে রাখতে হয় । অন্যন্যা চিকিৎসা করার পর হইয়া কোন উপকার না পাইয়া আমার নিকট চিকিৎসা জন্য আসে ।সারাসিনিয়া 30 সকাল বিকাল দিনে দুই বার সেবনে এক সপ্তাহ পর সংবাদ বিশেষ কোন উপকার না পাইয়া 200 শক্তি তিন দিন পর পর সকালে খালি পেটে চার মাত্রা সেবনে এই রোগ থেকে মুক্তি পায় ।