রোগ বিবরন : বিভিন্ন প্রকারে শরীর দগ্ধ হইতে পারে । আগুন গরম তেল গরম পানি বিদ্যুৎ প্রকৃতিতে পুড়িয়া যাইতে পারে ।তবে সকল পোড়া ঘায়ে প্রায় একই প্রকারের চিকিৎসা। পোড়া স্থান ক্ষতে পরিনত হইলে ভীষন আকার ধারন করে ।শরীরের অধিক স্থান পুড়িয়া গেলে সাংঘতিক ভয়ের কারন ।শিশুরা পুড়িয়া গেলে প্রানের আশা কম ।তাই অধিক স্থান পোড়া ও শিশু রোগীদের হাসপাতালে পাঠাইয়া দেওয়া ভাল ।
চিকিৎসা
ক্যাস্থারিস (Cantharis) : শরীরের স্থান আগুন গরম তেল গরম পানি অন্য কোন প্রকারে পুড়িয়া গেলে ক্যাস্তরিস Q এক ভাগ দশ ভাগ জলে মিশাইয়া ন্যাকড়া ভিজাইয়া জল পট্রি দিয়া কেস্থারিস 3বা 6 শক্তি পুনঃ পুনঃ সেন করিতে দিলে শীঘ্র জ্বালা যন্ত্রনা নিবারন হয় এবং পোড়া স্থানে ফোস্কা পড়ে না ।যদি ফোস্কা পড়ে কাটা দ্বারা ফোস্কার যন্ত্রনা বিনারন হয় এবং পোড়া স্থানে ফোস্কা পড়ে না ।যদি ফোস্কা পড়ে কাটা দ্বারা ফোস্কার জল বাহির করিয়া উক্ত প্রকার জল পট্রি দেওয়া যাইতে পরে ।
এসিড কার্বলিক (Acid Carbolic) : পোড়া ঘায়ে দুর্গন্ধ হইলে ইহা প্রযোজ্য ।সেবন বিধি : শক্তি 6 প্রতাহ ৩ মাত্রা সেবন ও ইহার Q ৩০ ফোটা এক ছটাক নারিকেল তৈলের সহিত করিয়া উক্ত প্রকার জল পট্রি করিয়া ঘায়ে বাহ্যিক ব্যবহারে উকার হয় ।
কষ্টিকাম (Causticum) :পোড়া ঘা শুকাইয়া পর ও ক্ষতের দাগ লাল হইয়া উঠে ।চুলকায় কিংবা পাকিয়া আবার পুজ পড়িতে আরস্ত কমে ।তখন কষ্টিকামই তার ঔষধ ।এখানে একটি কথা স্বরন রাখা দরকার ।পোড়া গা শুকাইয়া পড়ে ঐ রোগীর শরীর ভাল থাকে না তখন কষ্টিকাম উপকার হইবে ।
সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে ২ বার চুলে কাহারো গেলে কষ্টিকাম শক্তি 30 কয়েক মাত্রা সেবনেই আরোগ্য হয় ।
আর্টিকা ইউরেন্স (Urtica Urens) : গরম জল গরম তৈল বা আগুনে শরীরের সামান্য জায়গা জুড়িয়া গেলে ইহার Q এক ভাগ চার ভাগ জলে মিশ্রিত করিয়া ন্যাকড়া ভিজাইয়া লাগাইলে ও ইহার গেলে কষ্টিকাম শক্তি ঘন ঘন সেবন করিলে খুব শীঘ্র উপকার হয় ।
এক্সরে (X-Ray): পোড়া ঘা কিছুতেই আরোগ্য না হইলে ইহাতে আরোগ্য হয় ।
সেবন বিধি : শক্তি 200 দিনে ২ মাত্রা ।পুরাতন আরো উচ্চ শক্তি ।
বাইওকেমিক চিকিৎসা
ফেরাম ফস (Ferrum Phos) : গরম জল তৈল বা আগুনে শরীরের কোন স্থান দগ্ধ হইলে ফেরাম ফস উপকারী ।
সেবন বিধি : শক্তি 6x ১-৪ বড়ি ১ মাত্রা বয়স অনুপাতে ১ ঘন্টা অন্তর সেবন ও 3x বিচুর্ণ অর্ধ বা ১ ড্রাম ১বা ২ আউন্স পরিমান জলের সহিত মিশাইয়া বাহ্যিক ব্যবহারে খুব শীঘ্র যন্ত্রনা উপশম হয় ।
ক্যালি মিউর (Kali Mur) : রোগের দ্বিতীয় বস্থায় পোড়া স্থানে ফোস্কা পড়িলে ক্যালি মিউর উৎকৃষ্ট ঔষধ ।
সেবন বিধি : শক্তি 6x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা ।বয়স অনুপাতে ৩ ঘন্টা অন্তর ।
পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা
মেথিলেটেড স্প্রিটে লেবুর রস মিশাইয়া পোড়া স্থানে লাগাইলে খুব শীঘ্র জ্বালা নিবারন হয় ।গরম তেলে জলে বা আগুনে পুড়িয়া গেলে ফিটকিরি চুর্ণ পোড়া স্থোনে বাহ্যিক ব্যবহারে উপকার হয় ।গরম তেলে জলে বা আগুনে পুড়িয়া গেলে ফিটকিরি চেুনের জল সমপরিমান নারিকেল তৈল মিশ্রিত করিয়া ক্ষত স্থানে প্রত্যহ তিন বার বাহ্যিক প্রয়োগ করিলে ক্ষত খুব শীঘ্র শুকাইয়া যায় ।শরীরের কোন স্থান পুড়িয়া গেলে যত শীঘ্র সম্বব পোড়া স্থানে নারিকেল তৈল লাগাইয়া তাহার উপর পুরো করিয়া ময়দা ছড়াইয়া দিলে যন্ত্রনা উপশম হয় । রোগী বিবরন : সালেহা নামের ৩৫ বৎসর এক মহিলা ।গরম ভাতের ফেনায় বাম বাহু পুড়িয়া ক্ষতে পরিনত হয় ।নারিকেল তৈল ও চুনের পানি সম পরিমান ভাল ভাবে মিশ্রিত করিয়া ন্যাকড়া ভিজাইয়া দিনে তিন বার বাহ্যিক ব্যবহার ও আর্টিকা ইউরেন্স শক্তি 6 দিনে তিন বার সেবনে কিছুদিনের মধ্যে ক্ষত শুকাইয়া যায় ।